এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > আর কুর্সিতে থাকছেন কিনা মুখ্যমন্ত্রী ফয়সালা হয়ে যাবে আজই? ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক পারদ?

আর কুর্সিতে থাকছেন কিনা মুখ্যমন্ত্রী ফয়সালা হয়ে যাবে আজই? ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক পারদ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ মধ্যপ্রদেশের বিধানসভার ২৮টি আসনের উপনির্বাচন। মধ্যপ্রদেশের বিধানসভার এই উপনির্বাচনটি কংগ্রেস ও বিজেপি দুদলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। এই উপনির্বাচনে অধিকাংশ আসনে জয়লাভ করলে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবে কংগ্রেস। আবার উপনির্বাচনটি বিজেপির ক্ষমতা ধরে রাখার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, কংগ্রেস থেকে অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপিতে চলে আসা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ভবিষ্যতও নির্ধারিত হবে এই উপনির্বাচনে। তাই এই উপ নির্বাচনকে ঘিরে ক্রমশ জমছে রাজনৈতিক পারদ।

সম্প্রতি বিহারে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের মতো মদ্যপ্রদেশের উপনির্বাচনও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কংগ্রেস ও বিজেপির কাছে। কারণ, বেশ কিছু আর্থিক সংস্কারের পর এই দুই রাজ্যের ভোট বিজেপির কাছে বলা যেতে পারে এসিড টেস্ট এর মত। মধ্যপ্রদেশের এই উপনির্বাচন যে বিজেপির কাছে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠতার বজায় রাখার লড়াই নয়। এটি কমলনাথ বনাম জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সম্মান রক্ষার লড়াইও। গত, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা শিবরাজ সিং চৌহানকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন কমলনাথ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ, দলবদল, তাঁর অনুগামী কংগ্রেস বিধায়কদের ইস্তফার ফলে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে কংগ্রেস। আস্থা ভোটের আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন কমলনাথ।

কমলনাথের ইস্তফার পর মধ্যপ্রদেশ পুনর্দখল করে বিজেপি। আবারো মসনদে বসেন শিবরাজ সিং চৌহান। তবে, ২৩০ টি আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভাতে বিজেপির মোট আসন সংখ্যা সম্প্রতি ১০৭, কংগ্রেসের মোট আসন সংখ্যা ৮৭। তাই ম্যাজিক ফিগার ১১৫ তে পৌঁছাতে হলে এই উপনির্বাচনে উভয়ের কাছেই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ দাবি করেছেন যে, পুনরায় কংগ্রেস সরকার গঠিত হবে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পদ্মশিবির জয়লাভ করবে নির্বাচনে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে নির্বাচনের প্রচারে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে কমলনাথকে নির্বাচন কমিশন বাদ দিয়ে দিয়েছিল।নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন কমলনাথ। গতকাল এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে। আদালতের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে সমালোচনা করা হয়। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ” তারকা প্রচারক ঠিক করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে কে দিল? কাদের তারকা প্রচারক হিসেবে তুলে ধরা হবে, তা ঠিক করবে কে? কমিশন, নাকি রাজনৈতিক দল? ” প্রধান বিচারপতির এই প্রশ্নের পরেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।

গতকাল সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে অনেকটা আত্মবিশ্বাস ও স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন কমলনাথ। তবে, এর ফলে ভোট প্রচারের ক্ষেত্রে কোন সুবিধা তিনি পাননি। কারণ আজ মঙ্গলবার থেকেই ভোটগ্রহণ শুরু। তাই, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, এর আগেই শেষ হয়ে গেছে ভোটের প্রচার। তবে আদালতের রায়ে তাঁর মুখ রক্ষা হয়েছে বলা যায়। মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে ১০ ই নভেম্বর। সকলের মনেই প্রশ্ন, কংগ্রেস পুনরায় ফিরে আসবে নাকি, না কি মসনদ থাকবে বিজেপির হাতে? যা নিয়ে জল্পনা ছড়াতে শুরু করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!