এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিধানসভার লক্ষ্যে বাম-কংগ্রেস জোট দানা বাধার আগেই গভীর সংশয়ে? জল্পনা বাড়িয়ে উঠল গুরুতর প্রশ্ন!

বিধানসভার লক্ষ্যে বাম-কংগ্রেস জোট দানা বাধার আগেই গভীর সংশয়ে? জল্পনা বাড়িয়ে উঠল গুরুতর প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টসামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই দিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে চাইছে মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি। বিগত দিনে 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তারা জোট করে লড়াই করলেও, সেভাবে ফল পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, বিগত লোকসভা নির্বাচনে জোটের ব্যাপারে সমস্ত কথা হলেও, শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।

যার ফলে এই দুই রাজনৈতিক দল মুখ থুবরে পড়েছে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে জোট করার ব্যাপারে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত দিয়ে দেওয়া হল। এক্ষেত্রে ভোটে আসন ভাগাভাগি থেকে শুরু করে নির্বাচনের আগে যৌথ আন্দোলন কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধা যাতে না হয়, তার জন্য এখন থেকেই সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী সিপিএম নেতৃত্ব।

জানা গেছে, মঙ্গলবার 16 টি বামদল পার্ক সার্কাস থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মোদি বিরোধী একটি মহামিছিলের ডাক দিয়েছে। যেখানে কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথভাবে এই কর্মসূচি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দলীয় কর্মসূচির কারণ দেখিয়ে সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ইতিমধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেসের অনেক নেতাকর্মীরা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে।

ফলে নির্বাচনের আগে জোটের মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সামনে রাখায় কংগ্রেসের এই প্রস্তাবে আদৌ কতটা রাজি হবে বামফ্রন্ট, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং তৃণমূলকে কুপোকাত করতে সিপিএমের পক্ষ থেকে জোটের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়ে দেওয়া হল। তাহলে কি তাদের জোট চূড়ান্ত?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র মনোজ চক্রবর্তী বলেন, “অধীরদা সহ গোটা প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে অত্যন্ত সিরিয়াস। 2016 সালে অধীরবাবুর উদ্যোগে এই ধরনের জোট হয়েছিল। কালীপুজোর পর যৌথ কর্মসূচির অ্যাজেন্ডার খসড়া বামেদের জানানো হবে। আর এই মুহূর্তে জোট শিবিরের যোগ্য জনপ্রিয়তম নেতার নাম নিঃসন্দেহে অধীর চৌধুরী। কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের এই ব্যাপারে আবেগ রয়েছে। তাই কেউ কেউ এই দাবি তুলছে। আমি নিজেও এই মতের সমর্থক। তবে এইসব বিষয়ে বামেদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।”

অর্থাৎ তৃণমূল এবং বিজেপিকে আটকানোই যে তাদের কাছে এখন প্রধান লক্ষ্য, তা কংগ্রেস এবং সিপিএমের উদ্যোগেই পরিষ্কার। কিন্তু যেভাবে প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে তুলে ধরে এখন থেকেই আওয়াজ তোলা হচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে এই জোট নিয়ে জটিলতা হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। ‌

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!