এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক দলের সঙ্গে খেলছেন ‘লুকোচুরি’? বিধানসভার আগে চরম অস্বস্তিতে শাসকদল?

হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক দলের সঙ্গে খেলছেন ‘লুকোচুরি’? বিধানসভার আগে চরম অস্বস্তিতে শাসকদল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে দেখা করার পর কার্যত উধাও কোচবিহার দক্ষিনে তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তার বাড়িতে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে তৃণমূলের দুই মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। কোথায় রয়েছেন মিহির গোস্বামী? দলের কোনো নেতার সঙ্গে দেখা না করে তাহলে কি দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার বার্তা দিচ্ছেন তিনি? জানা গেছে, কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর এই আত্মগোপনে থাকার বিষয়টি খুব একটা ভালো চোখে নিচ্ছে না তৃণমূল নেতৃত্ব।

যেখানে কোনো বিধায়কের এইভাবে আত্মগোপন করে থাকা উচিত নয় বলে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে দেখা গেছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে। অর্থাৎ মিহির গোস্বামীকে নিয়ে এতদিন লুকোচুরি খেলা হলেও, এবার যে তার দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন জেলা তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতা, তা বোঝাই যাচ্ছে। তাহলে কি মিহিরবাবুর সঙ্গে দলের দূরত্ব আরও বেশি করে জোরালো হচ্ছে?

বলা বাহুল্য, বেশ কিছুদিন ধরে কোচবিহার জেলা রাজনীতিতে এই মিহির গোস্বামীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়ার পরেই প্রকাশ্যে দল বিরোধী মন্তব্য করতে দেখা গেছে এই তৃণমূল বিধায়ককে। শুধু তাই নয়, প্রশান্ত কিশোরের টিম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই তৃণমূল বিধায়ক। পাশাপাশি নিজের দলীয় কার্যালয় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের প্রতীক খুলে ফেলে দিয়েছেন তিনি। সাম্প্রতিককালে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে বাড়িতে এক ঘন্টা ধরে কথোপকথন সেই মিহির গোস্বামীর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনাকে আরও বৃদ্ধি করেছে।

আর এই পরিস্থিতিতে সেই মিহিরবাবুর মান ভাঙাতে তার পরদিন তার বাড়িতে গেলেও কার্যত নিরাশ হয়ে ফিরতে হয় রাজ্যের দুই মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। তৃণমূলের জেলা স্তরের নেতারা সেই মিহির গোস্বামীর সঙ্গে দেখা করার বহু চেষ্টা করলেও, প্রত্যেকেই ব্যর্থ হচ্ছেন। কোথায় রয়েছেন মিহির গোস্বামী? তা কেউ জানেন না। আর এই পরিস্থিতিতে এবার মিহিরবাবুর এই আত্মগোপনে থাকা যে তাদের কাছে খুব একটা ভালো বার্তা বহন করে আনছে না, তা বুঝিয়ে দিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “বিধায়কের দায়িত্ব, কর্তব্য হল মানুষকে পরিষেবা দেওয়া, মানুষের পাশে থাকা। আমরা কোনোদিন ঘরে বসে ছিলাম না। মিহিরবাবু প্রবীণ মানুষ। ওনার কি দায়িত্ব, কি কর্তব্য, তা উনি ভালো মত জানেন। আমরা তাকে ফোনে পাচ্ছি না। ওর ফোন সুইচড অফ রয়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে কিনা, তা দল বুঝবে। দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর নির্ভর করে। কোনো ব্যক্তির উপরে না।” অর্থাৎ নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বুঝিয়ে দিলেন যে, মিহির গোস্বামী যে কাজ করছেন, তা তাদের কাছে খুব একটা স্বস্তিকর নয়।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, মিহির গোস্বামী কি করবেন, তা তার নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু তার এইভাবে আত্মগোপন হয়ে থাকা তৃণমূলের অস্বস্তিকে ক্রমশ বৃদ্ধি করছে। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মিহির গোস্বামী যদি এই রকম আচরণ করতে শুরু করেন, তাহলে তা শাসকদলের হৃদস্পন্দন বাড়াতে শুরু করবে। তাই এমত পরিস্থিতিতে এই তৃণমূল বিধায়কের আত্মগোপন থাকা নিয়ে এবার মুখ খুললেন জেলা তৃণমূলের শীর্ষনেতা বিনয়কৃষ্ণ বর্মন।

নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, কোনো বিধায়কের দায়িত্ব এবং কর্তব্য এইভাবে এড়িয়ে যাওয়া মোটেই উচিত নয়। অর্থাৎ বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে মিহির গোস্বামীকে বার্তা দিতে চাইলেন যে, তার এবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসা উচিত। কিন্তু কি করবেন মিহির গোস্বামী? জেলা তৃণমূলের শীর্ষনেতার বার্তায় সাড়া দেবেন, নাকি অন্য কোনো রাজনৈতিক পন্থা তৈরি করে রেখেছেন তিনি, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!