এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যে বড়সড় অনিয়ম, সোচ্চার তৃনমূল বিধায়ক! প্রবল চাপে মমতা, সোচ্চার বিজেপি!

রাজ্যে বড়সড় অনিয়ম, সোচ্চার তৃনমূল বিধায়ক! প্রবল চাপে মমতা, সোচ্চার বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- চুরি, দুর্নীতি, বেআইনি কাজে ভরে গিয়েছে গোটা রাজ্যটা। সব জায়গায় সর্বনাশের রাজনীতি করেই চলেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে রাজ্যবাসীকে চোখের জল ফেলতে বাধ্য করছেন তিনি এবং তার সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ এমনটাই। তবে এবার আর বিরোধীরা নয়, একেবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তৃণমূলেরই অস্বস্তি বাড়ালেন দলের বিধায়ক অসিত মজুমদার। একেবারে নিজে হাতে পুকুর ভরাট আটকাতে দেখা গেল তাকে। আর তৃণমূল বিধায়কের এই উদ্যোগকে অনেকে প্রশংসা করলেও, অনেকে আবার কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। তারা বলছেন, তৃণমূল নিজেরা চুরি করে নিজেরাই তা আটকানোর নাটক করছে। আসলে লোকসভা ভোট সামনে। তাই এই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক মানুষের সিমপ্যাথি পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন চুঁচুড়ার 6 নম্বর ওয়ার্ডে পুকুর ভরাটের খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছে যান তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। যেখানে অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দেন তিনি। বিধায়কের দাবি, বেআইনিভাবে জলা জমি ভরাট করা হচ্ছে। তবে যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দলের নেত্রী, তিনি দাবি করেন যে, এই রাজ্যে অনিয়ম কিছু হয় না, সেখানে এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ হচ্ছে কি করে? চুঁচুড়াতে তো বিধায়ক না হয় এটা ধরে নিজেকে মহান প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু রাজ্যের প্রত্যেকটি ব্লকে ব্লকে, প্রত্যেকটি জেলায় জেলায় পুকুর ভরাট থেকে শুরু করে চাকরি চুরি, সব জায়গায় অনিয়ম করছে তৃণমূল। সেই জায়গায় কে চোর ধরবে! আর সমস্ত অনিয়মের সঙ্গে তো সব থেকে বেশি তৃণমূল জড়িত। তাই দিনের শেষে এই প্রবণতা শুরু হলে ঠগ বাছতে গাঁ উজার হয়ে যাবে বলেই দাবি সমালোচকদের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে সোচ্চার হতে শুরু করেছে বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি, বিধায়কের এই ধরনের উদ্যোগ নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। এটা সম্পূর্ণটাই লোক দেখানো। পেছনের দরজা দিয়ে সমস্ত টাকা তৃণমূল নেতাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। সবথেকে বেশি অনিয়মের সঙ্গে জড়িত এই রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। সামনে ভোট। তাই এই ধরনের কাজ করে মানুষের মন পাওয়ার চেষ্টা করছেন অসিত মজুমদার। তবে এসব করে আর কিছু হবে না। মানুষ এই তৃণমূলের কাছ থেকে মুক্তি চায় বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতেহ বিধায়ক যখন নিজেই পুকুর ভরাটের ঘটনা প্রকাশ্যে আনলেন, তখন নিঃসন্দেহে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে লজ্জাবোধ করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অবশ্য যে মুখ্যমন্ত্রী তার মন্ত্রীরা জেলে গেলেও দায় নিতে চান না, তিনি এই ঘটনার দায় নেবেন, এটা বিশ্বাস করাও ভুল। কারণ, চোরকে চুরি করতে বলে গৃহস্তকে সবসময় সজাগ থাকার কথাই বলেন মাননীয়া। সমস্ত সুবিধা তিনি ভোগ করবেন। দুর্নীতির সিংহাসনে বসে সব ক্ষমতা ভোগ করবেন। অথচ তার বিরুদ্ধে কেউ কোনো অভিযোগ তুলতে পারবে না, এটাই তো এই রাজ্যে শাসক দলের প্রধান নিয়ম এবং নীতি। তবে তৃণমূল বিধায়ক যেভাবে পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন, তাতে অনিয়ম যে রাজ্যে হচ্ছে, তা যেমন স্পষ্ট হয়ে গেল, ঠিক তেমনই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে, সরকারের প্রধান হিসেবে চরম অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!