এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > নাবালিকাকে নেশার দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এবার বড়সড় মুশকিলে প্রভাবশালী বিজেপি নেতা!

নাবালিকাকে নেশার দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এবার বড়সড় মুশকিলে প্রভাবশালী বিজেপি নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গণতন্ত্র নেই বলে অভিযোগ করছে বিরোধীরা। দুর্নীতি থেকে শুরু করে নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে তৃণমূল জড়িত বলে দাবি করছে গেরুয়া শিবির। তবে এবার বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অস্বস্তিকর অভিযোগ সামনে চলে এল। সূত্রের খবর, এবার বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য সহদেব ঘোড়ুইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল দুর্গাপুর আদালত।

জানা গেছে, সহদেব ঘোড়ুই পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিজেপির সভাপতি লক্ষন ঘোড়ুইয়ের ভাইপো। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সহদেব ঘোড়ুই প্রতিনিয়ত পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই তার টাওয়ার লোকেশন যাতে ট্র্যাক করা না যায়, তার জন্য অভিযুক্ত বিভিন্ন মোবাইল ব্যবহার করছে বলে খবর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 5 মে কাঁকসা থানার ধোবাঘাটা এলাকার এক বিজেপি নেতা জেলা সভাপতির ভাইপো সহদেব ঘোড়ুইয়ের বিরুদ্ধে একটি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন।

যেখানে তিনি জানান যে, এক নাবালিকা মেয়েকে নেশার দ্রব্য খাইয়ে দুর্গাপুরের পার্কে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন জেলা সভাপতির ভাইপো। আর এই ছবি এবং ভিডিও দেখিয়ে বারবার সেই নাবালিকা মেয়ের দেহ স্পর্শ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আর বিজেপির জেলা সভাপতির ভাইপোর বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতার সেই ভাইপো পুলিশের নাগালের বাইরে বেরিয়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি যখন তৃণমূলকে বাজিমাত করতে সচেষ্ট, তখন তৃনমূল চাইছে,‌ বিজেপিকে পাল্টা চাপে ফেলতে। আর তারই অঙ্গ হিসেবে এবার বিজেপি নেতার ভাইপোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতেই তাকে চেপে ধরতে উদ্যোগী হয়েছে ঘাসফুল শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান ভি শিবদাসন দাসু বলেন, “যে কোনো দলের ক্ষেত্রেই এই ঘটনা লজ্জার। তবে বিজেপির এই কালচার রয়েছে।”

অর্থাৎ, তৃনমূলের বিরুদ্ধে যখন বিজেপি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছে, ঠিক তখনই বিজেপি নেতার ভাইপো অভিযুক্ত হয়ে যাওয়ায় গেরুয়া শিবির তীব্র অস্বস্তিতে পড়ল বলেই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এদিকে, ঘটনার দুমাস পরেও পুলিশ অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে ধরতে না পারায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। আর তারপরেই উঠেপড়ে লাগে পুলিশ বাহিনী। সংশ্লিষ্ট নেতার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত তথ্য-প্রমান জোগাড়ের পর, আদালতে গেলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেনা বিচারক। ফলে সব মিলিয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে সংশ্লিষ্ট নেতা সহ গেরুয়া শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!