এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মন্ত্রীর দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত চার বিধায়ক, বিজেপি যোগের জল্পনা শুরু

মন্ত্রীর দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত চার বিধায়ক, বিজেপি যোগের জল্পনা শুরু

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার পরই বঙ্গ বিজেপি চাণক্য মুকুল রায় ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে ভাঙন ধরাতে শুরু করেছিলেন। আর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলের ভরাডুবি এবং বিজেপির অভাবনীয় উত্থানের পরই সেই মুকুল রায়ের গেম প্ল্যানে শাসকদলের ভাঙন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠতে থাকে।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কিছু পৌরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলর এবং বেশ কিছু তৃণমূল বিধায়ক পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। গতকালই বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং বনগাঁ পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলররা দিল্লীর বিজেপির সদর দপ্তরে গিয়ে বিজেপির পতাকা নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছেন। তবে এখানেই শেষ নয়, দল বদলের এই পালা যে চলবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির চাণক্য মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

আর এরই মাঝে এবার উত্তরবঙ্গের চার হেভিওয়েট তৃনমূল বিধায়কের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা ফুটে উঠতে শুরু করল।জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের তৃণমূলের অন্যতম বড় নেতা তথা সংগঠক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ লোকসভা পরবর্তী বিপর্যয়ের পর স্থানীয় নেতৃত্বদের নিয়ে একটি বৈঠকের আহ্বান দিয়েছিলেন সেই বৈঠকেই চার জন তৃণমূল বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন।ফলে বিজেপি যোগের জল্পনা বেড়েছে। পাশাপাশি সেখানকার বেশকিছু পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতও ঘাসফুল শিবির থেকে পদ্ম শিবিরের দখলে যেতে চলেছে বলে খবর। আর যা নিয়ে এবার রাজনৈতিক মহলের ছড়িয়ে পড়েছে জোর জল্পনা।

অনেকে বলছেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে তৃণমূল একটি আসনও নিজেদের দখলে রাখতে পারেনি। ফলাফল প্রকাশের পর সেই উত্তরবঙ্গে শাসকদলের অনেক বিধায়কেরা গেরুয়া শিবিরে যোগদান করবেন বলে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছিল। আর এবার সেখানকারই চার তৃণমূল বিধায়ক এবং বেশ কিছু পুরসভা ও পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে যাওয়ার সম্ভাবনা জোরালো হতেই উত্তরবঙ্গে যে তৃণমূলের বড়সড় ধ্বস নামতে চলেছে, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

বিজেপির দাবি, তৃণমূলে সবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। আরও অনেক চমক বাকি রয়েছে‌। ভবিষ্যতে তৃণমূল বলে আর কোনো দল থাকবে না। তবে তৃণমূলের অবশ্য দাবি, এইভাবে দল ভাঙিয়ে কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শেষ করা যায় না। যারা সুবিধাবাদী এবং স্বার্থলোভী তারাই এখন দলবদল করছেন। তবে দুই দলের এই রাজনৈতিক তরজার মাঝে যদি সত্যিই এবার উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের থাবা বসানোর প্রক্রিয়া কাজে লাগে এবং তৃণমূলের প্রায় চার বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করেন, তাহলে উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক মানচিত্র যে গেরুয়াময় হয়ে যাবে সেই ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিজেপি নেতারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!