এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর জেদ অন্য রকম, হাতেনাতে শিক্ষা পেলেন মমতা! কটাক্ষ বিজেপির!

শুভেন্দুর জেদ অন্য রকম, হাতেনাতে শিক্ষা পেলেন মমতা! কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শুভেন্দু অধিকারীকে বাগে আনতে, তাকে জব্দ করতে কম চেষ্টা করছে না এই তৃণমূল সরকার। বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দুবাবুর সভার ক্ষেত্রে অনুমতি পুলিশ না দিলেও, আদালত থেকে কি করে অনুমতি আনতে হয়, তা রাজ্যকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন শুভেন্দুবাবু। বাঁকুড়ার ক্ষেত্রেও তেমনটাই হলো। তৃণমূল ভেবেছিল, পুলিশকে দিয়ে অনুমতি না দিয়ে তারা শুভেন্দু বাবুকে চাপে রাখবে। কিন্তু তা হলো না। শেষ পর্যন্ত আদালত সেখানে সভা করার ব্যাপারে বিজেপিকে অনুমতি দিয়ে দিল। আর এর পরেই তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন সেই শুভেন্দু অধিকারী। তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেল যে, মেদিনীপুর মাথা নত করার মত সন্তানদের জন্ম দেয়নি। এখানকার মাটি শক্ত মাটি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে দিয়ে কিছুদিনের জন্য বিরোধী শক্তিকে দমিয়ে রাখতে পারেন। কিন্তু মেদিনীপুরের সন্তানরা যে টার্গেট নিয়ে লড়াই করেন, সেই টার্গেট তারা শেষ পর্যন্ত ছুঁয়ে ফেলেন। শুভেন্দু অধিকারীও সেই কাজ করে মুখ্যমন্ত্রীকে বুঝিয়ে দিলেন, তার শাসনতন্ত্র শেষ কথা বলবে না।

প্রসঙ্গত, আগামী 25 তারিখ বাঁকুড়ার কোতুলপুরে সভা করার জন্য শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি না পেয়ে আদালতে গিয়েছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর একটা টার্গেট ছিল যে, পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি না পাওয়া গেলেও, তিনি সেই দিন সভা করবেন এবং তার জন্য যতদূর যেতে হয় তিনি যাবেন। শেষ পর্যন্ত বিজেপি আদালত থেকে জয় নিয়ে এসেছে। আদালত জানিয়ে দিয়েছে যে, বিজেপি সেখানে সভা করতে পারবে। কিন্তু এক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্তও দিয়েছে মহামান্য আদালত। পুলিশ একেবারেই যে সভার অনুমতি দিচ্ছিল না, সেখানে আদালত কার্যত তার উল্টো পথে হেঁটে বিজেপিকে সভা করার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে। আর এখানেই বিজেপি তো বটেই, আদালতের এই নির্দেশ শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রেও বড় জয় বলেই মনে করছেন একাংশ। এদিন সেই ব্যাপারেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমাকে এটা নিয়ে 71 বার আটকেছে। কিন্তু আমাকে আটকে কিছু লাভ নেই। আমি যদি বলি, আমি কিছু করব তো আমি সেটা করবই। আমরা মেদিনীপুরের ছানা। আমাদের এলাকা আগে স্বাধীনতা পেয়েছে। বুধটা শুক্র হতে পারে, বৃহস্পতিটা শনি হতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হবেই।”

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি, এত কিছুর পরেও কেন শিক্ষা হচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? ভোটে তো শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে বাড়ি চলে আসতে হয়েছে তাকে। কিন্তু তারপরেও নির্লজ্জের মত শুভেন্দু অধিকারীর প্রত্যেকটি সভায় পুলিশকে দিয়ে বাধা দান করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেখানেও প্রশাসন শেষ কথা বলছে না। শেষ কথা বলছে আদালত। বারবার আদালতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু রায় নিয়ে এসে প্রমাণ করে দিচ্ছেন যে, পুলিশ যতই বাধা দিক, আইন ব্যবস্থা তাকে সভা করার ব্যাপারে অনুমতি দিচ্ছে। এক্ষেত্রেও তাই হলো। প্রমাণ হয়ে গেল যে, শুভেন্দু অধিকারীর কাছে সবদিক থেকেই হেরে গোহারা হয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তার কাছে ক্ষমতা থাকতে পারে, পুলিশ থাকতে পারে, কিন্তু আইন, সংবিধান এবং সর্বোপরি রাজ্যের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষ বিরোধী দলনেতার সঙ্গে রয়েছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল যেদিন থেকে ক্ষমতায় এসেছে, সেদিন থেকে তাদের বিরোধী শক্তির সঙ্গে সেভাবে লড়াই করতে হয়নি। বিরোধী দলনেতা হয়ত ছিলেন। কিন্তু তারা সেভাবে এই শাসকদলের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করার মত ক্ষমতা দেখায়নি। যা বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী দেখাচ্ছেন। তার একের পর এক পদক্ষেপ এই রাজ্য সরকারকে এমন চাপে ফেলে দিচ্ছে যে, এবার তৃণমূল অনুধাবন করতে শুরু করেছে, রাজ্যে বিরোধী দল বলে কিছু একটা রয়েছে। কার্যত সবদিক থেকেই এই সরকারের নিশ্বাস নেওয়ার মত ফাঁকটুকুও রাখছেন না শুভেন্দুবাবু। অপরদিকে তাকে চাপে ফেলতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কম কারুকার্য করছেন না। কিন্তু সেখানেও আদালত থেকে রায় নিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক ক্ষমতাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কোতলপুর নিয়ে আদালতের নির্দেশের পরে একটা বিষয় বোঝা যাচ্ছে যে, শুভেন্দু অধিকারীর জেদের কাছে প্রতি পদে পদে হারতে হচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!