এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলতন্ত্রের দিন শেষ! মমতার মুখে ঝামা ঘষলো আদালত? উচ্ছ্বসিত বিরোধীরা!

দলতন্ত্রের দিন শেষ! মমতার মুখে ঝামা ঘষলো আদালত? উচ্ছ্বসিত বিরোধীরা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে কন্ট্রোল করার মতো ক্ষমতা আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেই। তিনি যেভাবে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করেছেন, তাতে এই রাজ্য সরকার সমস্ত সীমাকে লংঘন করে গিয়েছে। আজকে সামান্য বিরোধীরা কোথাও যদি মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করতে যায়, সেখানেও পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। তবে সবাই এই প্রশাসনের নীতির কাছে মাথা বিক্রি করে দেওয়ার মত মানুষ নয়। কেউ কেউ এখনও শিরদাঁড়া নিয়ে লড়াই করছে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। আর লড়াইয়ের স্ট্যান্ড পয়েন্ট সঠিক হলে যে জয় পাওয়া যায়, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে। জয়নগরে সামান্য ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিপিএমের নেতারা। কিন্তু সেখানেও পুলিশ তাদের বাধা দিয়েছিল। যার ফলস্বরূপ তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। আর এদিন আদালত তাদের পক্ষে রায় দিয়ে দিল। আর তাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মুখে ঝামা ঘষা পড়লো বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, জয়নগরে এক তৃণমূল নেতা খুন হওয়ার পর সেখানকার অনেক বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর তারপরেই বিরোধীরা সেই এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সিপিএমের পক্ষ থেকে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বেশ কিছু নেতা সেখানে ত্রাণ নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দেয়। কি কারণে বাধাদান, তা পুলিশ নিজেও জানে না। অর্থাৎ ওপর তলার নির্দেশে বিরোধীদের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে দেওয়া যাবে না, সেই জন্যেই যে পুলিশের এই কার্যকলাপ, তা স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের কাছে মাথা বিক্রি করে দেয়নি। তাই আইনজীবী এবং সিপিএম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় এই গোটা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং শেষ পর্যন্ত আদালত রায় দিয়ে জানিয়ে দেয় যে, সেখানে ত্রাণ নিয়ে যেতে পারবে সিপিএম। কিন্তু এক্ষেত্রে আদালতের পক্ষ থেকে শর্ত দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, শুধুমাত্র ত্রাণ নিয়েই সেখানে যাওয়া যাবে। কোনোরকম স্লোগান বা পতাকা ব্যবহার করতে পারবেন না তারা।

তবে আদালতের এই নির্দেশের পরেই রীতিমত উচ্ছ্বসিত বিরোধীরা। তাদের দাবি, এই একটি নির্দেশের ফলে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এই সরকার পুলিশকে কিভাবে ব্যবহার করছে। সব জায়গায় পুলিশি বাধাকে উপেক্ষা করে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে বিরোধীদের। সমস্ত জায়গায় তাদের আটকে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য আদালতে যাওয়া ছাড়া বিরোধীদের কাছে আর কোনো উপায় নেই। বিচার ব্যবস্থাই এখন সঠিক পথ দেখাচ্ছে। তাই এক্ষেত্রেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে সঠিক পথের দৃষ্টি দিল মহামান্য আদালত বলেই দাবি করছে বিরোধী শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সিপিএমের নেতারা যখন জয়নগরে পৌঁছে গিয়েছিলেন, যখন তাদের পুলিশ বাধা দিচ্ছিল, তখন তারা এটাও বলেছিলেন যে, তারা কোনো স্লোগান দেবে না। শুধু মানুষের কাছে সাহায্যটুকু পৌঁছে দেবে। কিন্তু তারপরেও পুলিশের নির্মম, অমানবিক চিত্র সামনে এসেছে। বিরোধীদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে লুন্ঠিত করেছে এই রাজ্যের প্রশাসন। আর সবটাই নবান্ন থেকে নির্দেশ দিয়ে করিয়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের অভিযোগ তেমনটাই। তবে শেষ পর্যন্ত এই রাজ্যে যে গণতন্ত্রের বিরাজমান, এই রাজ্যের গণতন্ত্রকে যে শেষ করতে পারবে না পুলিশ প্রশাসন, তা বুঝিয়ে দিল মহামান্য আদালত। জয়নগর নিয়ে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলা সিপিএমকে যথেষ্ট স্বস্তি দিল। পাশাপাশি এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট সরকারকেও বড় শিক্ষা দিয়ে দিল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!