লোকসভা ভোটের আগে থেকেই বাংলাকে টার্গেট করেছিল বিজেপি। ককেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। আর লোকসভা ভোটে ১৮ টি আসন জিতে বাংলাকে তৃণমূল মুক্ত করতে উঠে পরে লেগেছে। আর কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্ব বাংলাকে যে বিশেষ গুরুত্ত্ব দিয়ে দেখছেন তা আবার প্রমাণিত হলো এদিন।

জানা যাচ্ছে সাংসদরা কী করবেন, কী বলবেন, তা ঠিক করে দিতে দু’দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছিল বিজেপি। আর তার দ্বিতীয় দিনে দ্বিতীয় দিনে লোকসভা-রাজ্যসভা মিলিয়ে ৩৮০ জন সাংসদের সামনে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরলেন বাংলার প্রতিনিধিরা।

আজ ‘সাংস্কৃতিক রাষ্ট্রবাদ কে শিল্পী’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন রাজনাথ সিংহ এবং জে পি নড্ডা। তাতে চাণক্য, সাভারকর, দীনদয়ালের পাশাপাশি বাংলাকে গুরুত্ত্ব দিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের উপর লেখা প্রবন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে । আর এর পরেই সেখানেই বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথা রাজ্যের সাংসদ দিলীপ ঘোষকে বাংলার বর্তমান অবস্থা নিয়ে বক্তব্য রাখতে বলা হয় । আর পশ্চিমবঙ্গকে সর্বসমক্ষে তুলে ধরার জন্য আলাদা করে সময়ও রাখা হয়েছিল বলেও জানা গেছে।

এদিন দিলীপবাবু রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, বিজেপি করার ‘অপরাধে’ দলের কর্মীদের খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে আর তাকে আত্মহত্যার তত্ত্ব বলে প্রচার করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে।মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে দলের নেতা কর্মীদের, লোকসভার প্রচারে দলীয় নেতাদের হেলিকপ্টার নামতে না দেওয়া থেকে রথযাত্রায় প্রশাসনের আপত্তি সব কিছু তুলে ধরা হয় এদিন।

এছাড়া এদিন কিভাবে তৃণমূলকে টেক্কা দিয়ে বিজেপি বাঁধলে সদস্য বাড়াচ্ছে তাও তুলে ধরা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে হারার ভয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটেও ব্যতিক্রম হয়নি। বহু ক্ষেত্রে বুথে কর্মী দেওয়া যায়নি। তবু দল ১৮টি আসনে জিতেছে। লোকসভায় প্রাপ্ত ভোটের নিরিখেও ৪০ শতাংশের উপঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে হারার ভয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটেও ব্যতিক্রম হয়নি। বহু ক্ষেত্রে বুথে কর্মী দেওয়া যায়নি। তবু দল ১৮টি আসনে জিতেছে।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরাও বাংলায় দলের এই অগ্রগতিতে খুশি। আর এই ধারা অব্যাহত রাখতে আরো লড়তে হবে বলে জানায় নেতৃত্ব। সাথেই সরকার বিরোধী আন্দোলনে নামতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে। ফলে এবার জোর দিয়ে বাংলায় ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না বলেই মত রাকনৈতিক মহলের।