এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের মমতার ব্ল্যাকমেল পলিটিক্স শুরু, পাল্টা চ্যালেঞ্জ বিজেপির! উত্তাল রাজ্য!

ফের মমতার ব্ল্যাকমেল পলিটিক্স শুরু, পাল্টা চ্যালেঞ্জ বিজেপির! উত্তাল রাজ্য!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ব্ল্যাকমেলিং পলিটিক্স শুরু করে দিলেন। তবে অতীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এইরকম বক্তব্য রাখতে দেখা যায়নি। কিন্তু এবার তিনি আতঙ্কে নাকি বিজেপির ভয়ে তটস্থ হয়ে এই ধরনের কথা বলছেন, তা সত্যিই কারও জানা নেই। কিন্তু কি এমন বললেন মুখ্যমন্ত্রী! অনেকে বলছেন, যাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র রাজনৈতিক জ্ঞান রয়েছে, তারা কখনও এই ধরনের কথা বলতে পারেন না। কিন্তু সেই সব সীমাকে লংঘন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এবার সরাসরি মানুষের সঙ্গে সংঘাতে নেমে পড়লেন। গোটা দেশে খুশির হাওয়া বইছে সিএএ লাগু করা নিয়ে। সকলেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন। কিন্তু সেই সময় দাঁড়িয়ে প্রকাশ্য সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করার পাশাপাশি নিজেই নিজের প্রশ্নের মুখে পড়ে গেলেন। ভোটের আগে তাকে জনতা থেকে শুরু করে বিরোধী দল প্রশ্ন করার সুযোগ পেয়ে গেল যে, এটা কি সত্যিই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথা? সত্যিই কি একজন মুখ্যমন্ত্রী চেয়ারে বসে এই ধরনের কথা বলতে পারেন?

প্রসঙ্গত, আজ উত্তরকন্যায় একটি সভা থেকে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আশ্চর্যজনক বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “সিএএতে আবেদন করলেই রাজ্যের সমস্ত প্রকল্প বাতিল হয়ে যাবে।” আর এখানেই প্রশ্ন, একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করে এই ধরনের কথা বলতে পারেন? এই সিদ্ধান্ত তো কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে দেশের মানুষের জন্য নিয়েছেন। যারা উদ্বাস্তু হয়ে পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে এই দেশে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই তো কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু তারপরে সেখানে আবেদন করলে রাজ্যের সমস্ত সুবিধা পাওয়া প্রকল্প কেন বাতিল করে দেবেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? তিনি কি এই কথা বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মানুষকে আবার ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন! যদি তিনি ভাবেন যে, তিনি যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন সেটা তার নিজের টাকায়, তাহলে তার এই ভাবনা কালীঘাটের বাড়িতে রেখে আসা উচিত। মানুষের ট্যাক্সের টাকা নিয়ে মানুষকে সুবিধে দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর দিদিগিরি ফলানোর চেষ্টা মোটেই কাজে দেবে না বলেই দাবি একাংশের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সিএএ নিয়ে এর আগেও মানুষকে উত্তপ্ত করে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত প্রকল্পে বাধাদান করার চেষ্টা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষকে রাগিয়ে দিয়ে ট্রেন ভাঙচুর করা হয়েছিল এই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে। কিন্তু এবার আর সেই সমস্ত চালাকি কাজে দেবে না। তাই এখন সিএএ দিয়ে মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন তিনি। মানুষ যে তার পাশে থাকবে না, লোকসভা নির্বাচনে যে তার দল এই পশ্চিমবঙ্গে শুন্যের আশেপাশে পৌঁছে যাবে, সেটা খুব ভালো করেই উপলব্ধি করতে পারছেন। দীর্ঘদিন রাজনীতি করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই এখন কেন্দ্রীয় সরকারের এত বড় সিদ্ধান্ত, যেটা মানুষের জন্য যথেষ্ট উপযোগী, সেই সিদ্ধান্তে ভয় পেয়ে গিয়ে তিনি বলছেন, সিএএতে আবেদন করলে নাকি রাজ্যের প্রকল্প বাতিল হয়ে যাবে। আসলে বরাবর যখন দেওয়ালে পীঠ ঠেকে যায়, তখন এই ব্ল্যাকমেলিং পলিটিক্সই সবথেকে বড় হাতিয়ার হয় এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট মুখ্যমন্ত্রীর। এবারেও তিনি ভোটের আগে সেটাই করার চেষ্টা করলেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!