এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভাইপোর সম্পত্তি অ্যাটাচ, ক্ষেপে লাল মমতা! পাল্টা দিলেন দিলীপ!

ভাইপোর সম্পত্তি অ্যাটাচ, ক্ষেপে লাল মমতা! পাল্টা দিলেন দিলীপ!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-তৃণমূলের পিসি ভাইপোর খেলা এবার শেষের মুখে। এতদিন মানুষকে যে যন্ত্রনার মধ্যে ফেলেছিলেন, এবার নিজেদের সেই যন্ত্রণায় জ্বলে পুড়ে ছারখার হতে হচ্ছে। মানুষকে অত্যাচার করলে, মানুষের অধিকারের টাকা চুরি করে নিজেরা সাম্রাজ্য স্থাপন করলে যে ফল ভালো হয় না, তা এখন বুঝতে শুরু করেছে এই রাজ্যের শাসক দলের ওপর তলা। তৃণমূল সরকারের আমলে পুলিশ দিয়ে বিরোধীদের ভয় দেখানো যায়। কিন্তু যদি তৃণমূলের কেউ অন্যায় করে, তাহলে তাদের আর যাই হোক, দেশের আইন শাস্তি দেবেই। ইতিমধ্যেই অনেক নেতা, মন্ত্রী জেলের মধ্যে রয়েছে। তবে সবেধর নীলমনি কবে জেলে যাবে, সেই দিকে নজর রয়েছে সকলের। আর তার মাঝেই একটি সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত সম্পত্তি অ্যাটাচ করে নেওয়া হচ্ছে বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ভাইপোর পিসি তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে তার পুলিশ যখন বিরোধীদের ওপর মিথ্যে মামলা দেয়, তখন কিছু হয় না। কিন্তু কেন্দ্রীয় এজেন্সি যখন সঠিক কাজ করেছে, যখন কিছু একটা বিষয় নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে জন্যেই তারা তদন্ত করার জন্য সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে। আর তাতেই গায়ে ছ্যাকা লাগছে এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের। তবে এর পাল্টা জবাব দিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ যা বললেন, তাতে বিজেপি কর্মীরা বলছেন যে, যদি অন্যায় না করে থাকে, তাহলে এত ভয় কিসের? যদি ভাইপো কোনো দুর্নীতি নাই করবেন, তাহলে তো তার সব সম্পত্তি একসময় তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। নিশ্চয়ই তদন্তের খাতিরে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এটা করেছে। তাই চিৎকার চেঁচামেচি না করে তদন্তে সহযোগিতা করা উচিত পিসি এবং ভাইপোর বলেই দাবি তাদের।

প্রসঙ্গত, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য নিয়ে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কয়লা, বালি সব টাকা নিয়েছে। এত টাকার সম্পত্তি হলো কি করে? গাছ লাগিয়েছেন নাকি! কেন্দ্রীয় এজেন্সি যা করেছে, তদন্তের জন্যই করেছে। যদি কিছু না থাকে, তাহলে অবশ্যই তারা সেগুলো ফিরিয়ে দেবে।” একাংশের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার তার ভাইপোকে নিয়ে হয়ত সত্যি সত্যিই ভয় পেয়েছেন। এতদিন যারা সেটিং, সেটিং বলতেন, যারা বলতেন যে, কিছুই হবে না ভাইপোর, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। কোনো সেটিং নেই। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, যদি কেউ মানুষের টাকা লুট করে, তাহলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কাউকে ছেড়ে কথা বলছে না। তাই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী হয়ত এমন কিছু হতে পারে, যার ফলে সেই স্বনামধন্য যুবরাজ চাপে পড়ে যেতে পারেন। আর সেই আতঙ্কেই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্ত কথা বলছেন? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। যদি তার মনে ভয় নাই থাকবে, তাহলে সাময়িকভাবে হয়ত সম্পত্তি অ্যাটাচ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু না করলে তো তা ছেড়ে দেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাহলে এত কেন এইসব বিষয় নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী?

পর্যবেক্ষকদের মতে, গোটা পদ্ধতিটাই আইনের বেড়াজালে রয়েছে। তাই এই বিষয়ে এখনই কিছু বলা উচিত হবে না। কিন্তু দিলীপ ঘোষ যে কথা বলেছেন, তার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বারবার পিসি ভাইপোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তাদের দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন বিরোধী নেতারা। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভাইপোকে গার্ড করার চেষ্টা পিসির পক্ষ থেকে করা হলেও, তা যে আতঙ্কের কারণেই হচ্ছে, তা স্পষ্ট। অর্থাৎ পিসি বুঝতে পেরেছেন, তিনি যাকে মুখ করে এগোচ্ছেন, তার দুর্নীতিই পথের সব থেকে বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!