এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সংঘাতের মাঝেই মমতা- মোদীর দাদা-বোনের সম্পর্ক তুলে ধরলেন তৃণমূল সাংসদ, বাড়ছে জল্পনা!

সংঘাতের মাঝেই মমতা- মোদীর দাদা-বোনের সম্পর্ক তুলে ধরলেন তৃণমূল সাংসদ, বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার প্রচারে এসে বারবার “দিদি ও দিদি” মন্তব্য করে শোরগোল তুলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এই মন্তব্যকে যে তিনি খুব একটা ভালো চোখে নেননি, তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দ্বৈরথ তুঙ্গে। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তলব করার পরেই রীতিমত রনংদেহী হয়ে ওঠেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেন্দ্র বাংলাকে সবসময় দমিয়ে রাখতে চাইছে বলে অভিযোগ করে রাজ্যের শাসক দল। এমনকি এই ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক “দাদা-বোনের মত” বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরুপা পোদ্দার। যার ফলে ঘাসফুল শিবির যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর চরম সংঘাতের চিত্র উঠে এসেছে, সেখানে তৃণমূল সাংসদ এই ধরনের মন্তব্য করে আদতে দলকে বিপাকে ফেললেন কেন, এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার প্রচারে এসে বারবার “দিদি ও দিদি” মন্তব্য করে শোরগোল তুলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এই মন্তব্যকে যে তিনি খুব একটা ভালো চোখে নেননি, তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দ্বৈরথ তুঙ্গে।

রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তলব করার পরেই রীতিমত রনংদেহী হয়ে ওঠেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র বাংলাকে সবসময় দমিয়ে রাখতে চাইছে বলে অভিযোগ করে রাজ্যের শাসক দল। এমনকি এই ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক “দাদা-বোনের মত” বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরুপা পোদ্দার। যার ফলে ঘাসফুল শিবির যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর চরম সংঘাতের চিত্র উঠে এসেছে, সেখানে তৃণমূল সাংসদ এই ধরনের মন্তব্য করে আদতে দলকে বিপাকে ফেললেন কেন, এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

বস্তুত, সমস্যার সূত্রপাত, দুর্যোগের পরবর্তী সময়কালে গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর বাংলা এবং উড়িষ্যা পরিদর্শন। যেখানে কলাইকুন্ডাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কিছুক্ষণ দেখা করার সময় চান মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেই সময় প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত আছেন বলে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে বেশ কিছুক্ষন সময় অপেক্ষা করে মুখ্যসচিবকে সাথে নিয়ে সেই প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। তবে পরবর্তীতে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, মুখ্যমন্ত্রী ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। যার জেরে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যে না রেখে জোর করে কেন্দ্র দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে রাজ্যের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচারণ করছে বলেও অভিযোগ করেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে যখন ব্যাপক দূরত্ব তৈরি হয়েছে, ঠিক তখনই বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল তৃণমূলের হেভিওয়েট সাংসদ অপরুপা পোদ্দারকে। এদিন তিনি বলেন, “মোদী-দিদির সম্পর্ক আসলে দাদা বোনের মত। বাংলার বিজেপির কিছু নেতা তাদের একসঙ্গে কাজ করতে দেবে না বলে ঝগড়া বাধিয়ে রেখেছেন।” আর তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্যের পর সবথেকে বেশি যে অস্বস্তির মুখে পড়তে হল ঘাসফুল শিবিরকে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এর আগে বারবার বামেদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে যতই বিবাদ আছে দেখান না কেন, তারা ভেতরে ভেতরে এক। এক্ষেত্রে বিজেপি এবং তৃণমূলকে “একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ” বলে কটাক্ষ করেছে বামেরা। আর এবার তৃণমূল সাংসদের মন্তব্য থেকে আরও একবার বামেদের সেই মন্তব্য জোরালো হয়ে উঠল বলেই মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তৃণমূল সাংসদ এই মন্তব্য করার জেরে সবথেকে বেশী অসুবিধায় পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস।

কেননা যখন নরেন্দ্র মোদী এবং তার দল বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক দাদা-বোনের বলে যে দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ, তাতে অস্বস্তিতে পড়তে হল শাসক দলকে। পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপি ভবিষ্যতে ঘাসফুল শিবিরকে চাপের মুখে ফেলে দিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

তবে অপরুপা পোদ্দারের মত তৃণমূল সাংসদ যখন এই মন্তব্য করলেন, তখন তিনি কি দলবদলের কোনো চেষ্টা করছেন, এখন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। সব মিলিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংঘাতের মাঝেই তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্য শোরগোল ফেলে দিল রাজ্য রাজনীতিতে‌।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!