এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার চাপেই কি মোদীর বৈঠকে অনুপস্থিত আলাপন? শুভেন্দুর মন্তব্যে চাপে তৃণমূল!

মমতার চাপেই কি মোদীর বৈঠকে অনুপস্থিত আলাপন? শুভেন্দুর মন্তব্যে চাপে তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  রাজ্য প্রশাসন তৃণমূলের কথামত পরিচালিত হয়, এই অভিযোগ বিরোধীদের দীর্ঘদিনের। আর তৃতীয় বার তৃণমূল কংগ্রেস সরকার আসার পর এই সেই অভিযোগ আরও একবার উঠতে শুরু করল। সম্প্রতি কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের বিবাদ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও, সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। বিভিন্ন জেলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সেই সমস্ত জেলাগুলো পরিদর্শন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসময় কলাইকুন্ডাতে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

যেখানে রাজ্যের রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত ছিলেন। তবে সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত না থেকে কিছুক্ষণের জন্য সময় চেয়ে নিয়ে মুখ্যসচিবকে সাথে নিয়ে সেই বৈঠকের ঘরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জমা দেন। আর তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে ভারতীয় জনতা পার্টি। শুধু তাই নয়, মুখ্যসচিবকে রাজ্যে থাকার ব্যাপারে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

কিন্তু শুক্রবারের ঘটনার পর মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে তলব করেছে কেন্দ্র। যার জেরে আরও ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে তাকে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে ফেলে দিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবার এই ব্যাপারে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় “বাঙালি বলে তার প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ন আচরণ করা হচ্ছে” বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাকে। পাশাপাশি রাজ্যে জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় আসার তৃণমূলকে জব্দ করতে বিজেপি এই সমস্ত কাজ করছে বলেও নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তারপরই ভার্চুয়ালি সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে খন্ডন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “কথায় কথায় বাঙালি-অবাঙালি করবেন না। ভোটের আগেও এটা করেছেন। এতে কাজ হবে না। আইএএস-আইপিএস অফিসাররা কোড অফ কন্ডাক্ট জানেন। কিন্তু আপনি পালন করতে দেন না। এই অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আমলারা চলছেন। অনেকটা সময় অপেক্ষা করে আপনি আসার পরে প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল সহ সকলে উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান জানাই। কিন্তু আপনি প্রধানমন্ত্রীকে কিছু নথি ও দাবিপত্র দিয়ে মুখ্যসচিবকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন। অন্য কোনো রাজ্যে এমনটা হয় না। আপনার মুখ্যসচিব আপনাকে সঙ্গ দিয়েছে। হয়ত বাধ্য হয়েই সঙ্গ দিয়েছেন।”

অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, মুখ্যসচিব নিজের ইচ্ছা সত্ত্বেও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার এই বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাড়িয়েছিলেন বলে অভিযোগ করার চেষ্টা করলেন বিজেপি নেতা। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, এই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার একাধিক ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরই প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। আর শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা থাকলেও, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতির পাশাপাশি মুখ্যসচিবের উপস্থিত না হওয়ার প্রসঙ্গটি তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন শুভেন্দু অধিকারী। যা বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রী ও রাজ্য প্রশাসনকে যথেষ্ট চাপের মুখে ফেলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!