এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > এবার আসানসোলে ‘ভূত রহস্য’! আতঙ্কে ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর, পিছনে অন্য রহস্য দাবি বিশেষজ্ঞদের

এবার আসানসোলে ‘ভূত রহস্য’! আতঙ্কে ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর, পিছনে অন্য রহস্য দাবি বিশেষজ্ঞদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভূতের গল্প পড়তে ভালবাসে না বা ভূতের সিনেমা দেখতে ভালোবাসে না এমন মানুষের সংখ্যা হয়তো পৃথিবীতে কমই আছে। রহস্য, ভয়কে সঙ্গে নিয়ে ভূত বিষয়টি একটি প্রধান এন্টারটেইনমেন্টের বিষয়, এটা বলাই যায়। কিন্তু টিভির পর্দায় ভূত যতটা আনন্দকর বাস্তবে ভূত ততটা আনন্দ দেবে কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ থেকেই যায়। কারণ চোখের সামনে ভূত দেখলে অনেকেরই ভয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত হবার জোগাড় হয়।

এবার সত্যি কারের ভূত দেখতে পাওয়া যাচ্ছে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল শহরে। আসানসোল শহরের লোয়ার চেলিডাঙার হুচুকপাড়া এলাকায় বারবার দেখা যাচ্ছে ভূতের আতঙ্ক। গভীর রাতে হঠাৎ করে শোনা যাচ্ছে কান্নার শব্দ। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ির ছাদে হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে ছায়া। এক বাড়ির ছাদ থেকে আরেক বাড়ির ছাদে উঠছে নামছে কিছু অদৃশ্য বস্তু।

কিছুদিন ধরেই আসানসোলের এই এলাকায় শুরু হয়েছে ভুতুড়ে কান্ড। যার জন্যে গত কয়েকদিন ধরে ঘুমাতে পারছেন না এলাকবাসী। একে তো ভূতের ভয়, তার মধ্যে আবার দেখা যাচ্ছে চুরি। তাই এই কাজ ভূতের না চোরের তা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্নের শেষ নেই। সম্প্রতি বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভূতে চিরকালই অস্তিত্বহীন, চুরি করার জন্য আতঙ্ক ছড়াচ্ছে চোরেরা।

একেই তো করোনার আতঙ্কে আতঙ্কিত আসানসোলের মানুষ। তার উপরে শুরু হয়েছে আসানসোলে একের পর এক চুরি জোচ্চুরির ঘটনা। আর এর সঙ্গেই আসানসোলে দেখা দিয়েছে ভূতের উপদ্রব। সব নিয়ে আতংকে দিশেহারা আসানসোল বাসি। স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, আসানসোল শহরের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের হুচুকপাড়া অঞ্চলে গত ১৫ দিন ধরে এই ভুতুড়ে কান্ড চলছে। আসানসোল শহরের এই অঞ্চলের উপরে চলা এই ভুতুড়ে কান্ড সম্পর্কে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন যে, কখনো কখনো বিরাট কোন বাড়ির ছাদ থেকে কান্নার শব্দ শুনতে পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু ছাদে গেলেই শব্দ বন্ধ, কাউকে দেখাও যাচ্ছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার কখনও কখনও বড় বড় প্রাচীর টপকে কেউ যেন হেঁটে যাচ্ছে, যাদের পিছু ধাওয়া করে কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। সাড়ে ৬ ফুট লম্বা মানুষও দেখা যাচ্ছে এখানে। প্রধানত রাত দেড়টা বাজলেই বাড়ছে এই সব কান্ড। বিভিন্ন আবাসনের সিসিটিভি ক্যামেরাতেও ভুতের ছবি ধরা পড়েছে। ভূতের ভয় নিয়ে এলাকার বাসিন্দারা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে। পুলিশকে তাঁরা বিষয়টি জানিয়েছেন। পুলিশও এসেছে, কিন্তু ভূতের উৎপাত বন্ধ করতে পারে নি।

ভুতুড়ে কাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে চুরিও শুরে হয়েছে এই এলাকায়। রাতে এলাকা পাহারা দেওয়া কয়েকজন যুবক এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “এই ঘটনা চলার পাশাপাশি পাড়ায় চুরিও শুরু হয়েছে। আমরা কোনও এক জায়গায় এই ধরনের খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যাচ্ছি। কিন্তু তার পরদিন শুনছি অন্য এলাকায় মোবাইল বা গৃহস্থের বাড়ির কোনও জিনিস খোয়া গিয়েছে। এর জেরে এলাকার বাসিন্দারাও বিভ্রান্ত। স্থানীয় বাসিন্দা সৌরভ টোপ্পো বলেন, আমরা খুবই চিন্তায় রয়েছি। পুলিসও বিষয়টি দেখছে। আমরা প্রতি রাতেই এলাকায় পাহারা দিচ্ছি।”

একাজ ভুতের না চোরের? – এই দ্বন্দ্ব দূর করতে পারছে না পুলিশও। বেশ কয়েকবার পুলিশ এই অঞ্চলের টহল দিয়েছে কিন্তু কাউকে ধরতে পারেনি। তাই এবার দিনের বেলাতেও পুলিশ এলাকায় নজর লাগতে শুরু করেছে। পাড়ায় নতুন কোন কোন লোক এসেছে কিনা তার তল্লাশি চলছে পুরোদমে। প্রসঙ্গত, লকডাউনের পর বেড়েছে চুরি। চুরির নিত্য নতুন পন্থা অবলম্বন করেছে দুষ্কৃতীরা, তাই এবার তারা ভূতের ভয় দেখিয়ে চুরির নতুন কোনো পন্থা আবিস্কার করেছে কিনা সে ব্যাপারে নজর পুলিশ। আসানসোল শহরের এই ভুতুড়ে কান্ড সম্পর্কে বিজ্ঞান মঞ্চের রাজ্য কমিটির সদস্য কিংশুক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “চোরেরা এবার নিজেদের অপকর্মের জন্য ভূতকে ব্যবহার শুরু করেছে বলে মনে হয়। আমাদেরও বিষয়টি নজরে এসেছে।” আসানসোল বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরাও এই ভুতুড়ে কাণ্ডের বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!