এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে আটকাতে পারলেন না মমতা, অবশেষে আদালতে বড়সড় জয় বিজেপির!

শুভেন্দুকে আটকাতে পারলেন না মমতা, অবশেষে আদালতে বড়সড় জয় বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার পুলিশকে দিয়ে যত যত জায়গায় শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির সভা হচ্ছে, সব সভাকেই ভন্ডুল করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে সেই সভা করেছে বিজেপি। বাঁকুড়ার কোতলপুরেও এরকম একটা চেষ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ করেছিল। প্রথম দিন শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করতে দেওয়া হয়নি। তবে এরপর বিজেপি যখন সভা করার জন্য মরিয়া, তখন আবার তাকে আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালত বিজেপির পক্ষে রায় দিয়ে দেওয়ায় চরম চাপে পড়লো এই রাজ্যের প্রশাসন। প্রমাণ হয়ে গেল, দলদাস প্রশাসনের একুশে আইন শেষ কথা বলবে না। শেষ কথা বলবে জনতা জনার্দন। মানুষকে মিটিং, মিছিল করতে দেওয়ার মত অধিকার প্রশাসনকে দিতেই হবে। আর তা না হলেই সেই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে মানুষের মনে তৈরি হবে সন্দেহের বাতাবরণ। ফলে আদালতের এদিনের এই নির্দেশের পরেই রীতিমতো উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির।

প্রসঙ্গত, বাঁকুড়ার কোতুলপুরে আগামী 25 তারিখ সভা করার জন্য অনুমতি নিতে আদালতে গিয়েছিল বিজেপি। এদিন আদালতের পক্ষ থেকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিজেপিকে বেশ কিছু শর্তও এক্ষেত্রে দিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সভায় বাধাদান করার জন্য বহু চেষ্টাও হয়েছিল। সেক্ষেত্রে প্রশাসনকেও তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছে আদালত। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, যত বেশি এই সমস্ত কিছু আটকাবেন, ততই এক্ষেত্রে সন্দেহ বাড়বে। অর্থাৎ এই রাজ্যের প্রশাসনকে ঘুরিয়ে নিরপেক্ষ হওয়ার বার্তা দিয়েছে বিচারালয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলদাস পুলিশের ঘুম ভাঙবে? এই নির্দেশের ফলে তারা আবার আদালতে বড়সড় হোচট খেলো বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, বারবার বিচারব্যবস্থা প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, এই রাজ্যের পুলিশ নিরপেক্ষ নয়। কিন্তু তারপরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনের লজ্জা হয় না। তারা বারবার বিরোধীদের কর্মসূচিতে বাধাদান করার চেষ্টা করে। কোতুলপুর নিয়েও বিচার ব্যবস্থার নির্দেশ বুঝিয়ে দিয়েছে, এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট সরকার শেষ কথা বলবে না। রাজ্যে মিটিং, মিছিল, কথা বলার স্বাধীনতা দিতে হবে সাধারণ মানুষকে। গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ হলে শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করবে আদালত। আর এভাবেই তৃণমূল সরকার মুখের মত জবাব পাবে বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাঁকুড়ার এই সভা নিয়ে শেষ পর্যন্ত এই প্রশাসনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জের রাস্তায় হেঁটেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও। তার কাছেও একটা চ্যালেঞ্জ ছিল যে, তিনি বাঁকুড়াতে যে করেই হোক সভা করবেন। মানুষের কাছে তিনি পৌঁছে যাবেন। শেষ পর্যন্ত বিজেপি গোটা বিষয় নিয়ে প্রশাসনের বাঁধাকে উপেক্ষা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। আর আদালত বিজেপিকে সভা করতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়ায় জয় পেয়ে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার শক্তি আরও বৃদ্ধি পেল। শত চেষ্টা করেও বিরোধী নেতাকে আটকাতে পারলেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশি বাধাকে উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত আদালত থেকে নিজেদের জয় ছিনিয়ে নিয়ে এলো বিরোধী শিবির। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!