যোগীর রাজ্যে পুলিশের বর্বরতা তুঙ্গে, সারাদেশের ক্ষোভের মুখে যোগী সরকার জাতীয় বিশেষ খবর October 4, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যোগীর রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ, মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। সম্প্রতি দেশজুড়ে তুমুল প্রতিবাদ উঠেছে হাথরাসের এর ধর্ষণকাণ্ডের সূত্রে। এই ধর্ষণকাণ্ডে যেমন দায়ী করা হচ্ছে অভিযুক্তদের, ঠিক সেভাবেই অন্যতম অভিযুক্ত হয়ে উঠছে দিনদিন উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। চূড়ান্ত বিতর্ক শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নিয়ে। সারাদেশ উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেই গর্জে উঠেছে। কারণ রাতের অন্ধকারে যেরকম প্রশাসনকে দেখা যাচ্ছে নির্যাতিতার দেহ পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দিতে, ঠিক সেরকমই নির্যাতিতার পরিবারকে চূড়ান্ত ঘেরাটোপের মধ্যে আটকে রাখতে। শুধু তাই নয়, মিডিয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা কাউকেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছেনা। উপরন্তু এবার নির্যাতিতার পরিবার থেকে এক 10 বছরের বাচ্চা ছেলে পুলিশের নজর এড়িয়ে পালিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের সামনে যে অভিযোগ করেছে, তা কিন্তু আরও ভয়ংকর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। সারাদেশ উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলছে। পালিয়ে আসা বাচ্চা ছেলেটি মিডিয়াকে জানায়, নির্যাতিতার বাড়ির প্রত্যেকের ফোন কেড়ে নিয়ে সুইচ অফ করে রেখেছে পুলিশ। এমনকি তাঁদের কোথাও যেতে দেওয়া হচ্ছেনা। পুলিশ ওই পরিবারের কারোর সাথে বাইরের কাউকে কথা বলতে দিচ্ছেনা। সব জায়গায় পুলিশের নজর রয়েছে। অন্যদিকে ওই বাচ্চা ছেলেটি দাবি করে, নির্যাতিতার বাবাকে প্রশাসনিক আধিকারিক মারধর করেছে। ছেলেটি যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছে ঠিক সেইসময় পুলিশ তাঁকে তাড়া করে। খুব স্বাভাবিকভাবেই মিডিয়া পুলিশকে ঘিরে ধরে জানতে চায় তাঁদের একটি বাচ্চা ছেলের সাথে এরকম ব্যবহার করার কারণ কি? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাল্টা পুলিশ জানটা, কেউ এভাবে সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারবে না। অন্যদিকে ব্যারিকেড টপকে এদিন সাংবাদিকরা বারবার চেষ্টা করেছে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আচরণ সারাদেশ দেখেছে। কিভাবে তাঁরা মিডিয়াকে হিংস্রভাবে আটকেছে। অন্যদিকে ছেলেটির অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের অতিরিক্ত এসপি জানিয়েছেন, নির্যাতিতার পরিবার যে অভিযোগ জানাচ্ছে তা মোটেই সত্যি নয়। দলিত তরুণী ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার কিন্তু রীতিমতো চাপের মুখেই বলে মন্তব্য করছেন বিশেষজ্ঞরা। যেভাবে উত্তরপ্রদেশ সরকার সারাদেশকে আটকে রাখছে সত্য জানতে না দিয়ে, তাতে কিন্তু উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব জন্মাচ্ছে সবার। এবং এই মনোভাব আগামী দিনে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের ওপর যে বর্তাবে না তার কিন্তু কোনো রকম গ্যারান্টি নেই বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত উত্তর প্রদেশের হাথরাস কাণ্ডকে কিভাবে সামাল দেয় যোগী সরকার, সে দিকেই নজর সবার। আপনার মতামত জানান -