এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অহংকারী মমতার অমানবিক রুপ, তেড়েফুঁড়ে উঠলেন শুভেন্দু! উত্তাল রাজ্য!

অহংকারী মমতার অমানবিক রুপ, তেড়েফুঁড়ে উঠলেন শুভেন্দু! উত্তাল রাজ্য!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সম্প্রতি আসানসোলে একটি কয়লা খাদানে কাজ করা 7 জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সামান্য মানবতা থাকলে এই ঘটনায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে সেই মৃত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারতেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি তো দূরের কথা, তার সরকারের কোনো মন্ত্রী, এমনকি কোনো আধিকারিক পর্যন্ত এই ঘটনায় এলাকায় এসে সান্তনাটুকু দেননি। বিরোধীদের অভিযোগ তেমনই। তবে বিরোধী দলনেতা হিসেবে নিজের কাজ করে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে বিপদ, সেখানেই মানুষের পাশে দাড়াচ্ছেন তিনি। তবে রাজ্য সরকারের দায়িত্ব এবং কর্তব্য বলে তো একটা বিষয় রয়েছে। কিন্তু সেখানে যখন গাফিলতি চোখে পড়ে, তখন বিরোধীরা সোচ্চার হবেই। তাই এবার আসানসোলে সেই মৃত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সামান্য মেরুদন্ড থাকলে লজ্জা পাবে এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট সরকার। অন্তত সমালোচকরা তেমনটাই বলছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন আসানসোলের সেই কয়লা খাদানে কাজ করা মৃত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন, “এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাটিতে নামেন না। তিনি আকাশে থাকেন। তিনি তো দূরের কথা, তার সরকারের কোনো আধিকারিক, এমনকি কোনো মন্ত্রী পর্যন্ত এখানে এসে এই পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ায়নি। যেটা সরকারের উচিত ছিল, কিন্তু সেটা তারা করেনি।” একাংশের মতে, সরকারের যা করা উচিত, সেটা দায়িত্ব নিয়ে করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার পরিধি অনেক কম। তাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি তার সাধ্য অনুযায়ী, যতটা পারছেন, আর্ত মানুষদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন। তার তো কোনো দরকার ছিল না, এই মৃত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর। কিন্তু সরকার যখন অমানবিক, সরকারের যখন সহানুভূতি দেওয়ার মত ক্ষমতা নেই, মুখ্যমন্ত্রী যখন ফ্যাসিস্ট, তখন পথে নামতেই হবে বিরোধী নেতাকে। তাই এলাকায় পৌঁছে গিয়ে মানুষকে সহানুভূতি দেওয়ার পাশাপাশি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ব্যর্থতাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে শুভেন্দুবাবু বুঝিয়ে দিলেন, এই রাজ্য সরকারকে বিদায় না জানালে রাজ্যবাসী পরিত্রাণ পাবে না।

বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে আজকে কত পরিবর্তন। অথচ এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় মানুষের বিপদে কত সহজ-সরল ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তেন! আজকে অহংকারে তার মাটিতে পা পড়ছে না। মানুষের সঙ্গে মিশতে তার অ্যালার্জি হচ্ছে। ক্ষমতার দম্ভ এই সরকারকে প্রবল ভাবে গ্রাস করেছে। তাই এদের বিদায় নেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।পর্যবেক্ষকদের মতে, ইসিএলের কয়লা খনিতে তো এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেনি। এতগুলো শ্রমিক মারা গিয়েছেন। আর যাই হোক, মুখ্যমন্ত্রী তো এলাকায় গিয়ে তাদের সান্তনা দিতে পারতেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলতে পারতেন। তাতে তো সেই মৃত শ্রমিকদের পরিবার কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতেন। কিন্তু সেটা করার মত সময় এই সরকার এবং তাদের মন্ত্রীদের হয়নি। আসলে তারা এই কাজে যখন সময় দেবে, তখন সেই সময়টা চুরি, দুর্নীতিতে লাগাবে। কারণ টাকার পাহাড়ে বসে ক্ষমতা ভোগ করাই এখন তৃণমূলের প্রধান লক্ষ্য আর উদ্দেশ্য। তবে এটা করতে গিয়ে নিজের যে সর্বনাশ মুখ্যমন্ত্রী ডেকে আনলেন, তাতে সেই মৃত শ্রমিকদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আপনজন হয়ে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!