এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রবীন্দ্রনাথ আঁকড়ে বিভেদ ভুলে একমঞ্চে ৩ মহারথী! ‘স্বপ্নের বাংলা’ গড়তে বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক?

রবীন্দ্রনাথ আঁকড়ে বিভেদ ভুলে একমঞ্চে ৩ মহারথী! ‘স্বপ্নের বাংলা’ গড়তে বিজেপির মাস্টারস্ট্রোক?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলার সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক ভারতীয় জনতা পার্টি নয়, বারবার এই অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার মনীষীদের সম্মান দেওয়ার ক্ষেত্রে বিজেপি কোনো ভূমিকা গ্রহণ করে না বলেও তৃণমূল নেতাদের মাঝেমধ্যেই বক্তব্য দিতে শোনা গেছে। বাংলায় 2021 এ বিজেপিকে ভালো ফলাফল করতে গেলে বাংলার মনীষীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেই যে তৃণমূলকে কুপোকাত করতে হবে, তা উপলব্ধি করেছেন বিজেপি নেতারা।

আর তাই এবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের মধ্যে দিয়ে নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করার কাজ শুরু করে দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, শুক্রবার ঘটা করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস পালন করে গেরুয়া শিবির। প্রথমে নিমতলা শ্মশানে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। পরবর্তীতে বিজেপি রাজ্য সদরদপ্তরের বাইরে বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস পালন করে এক মঞ্চে দেখা যায় দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা এবং মুকুল রায়কে।

স্বভাবতই বাংলার সব থেকে শ্রেষ্ঠ মনীষী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের মধ্যে দিয়ে একদিকে যেমন বিজেপি তৃণমূলের বক্তব্য খণ্ডন করল, ঠিক তেমনই যে তিন নেতার মধ্যে বনিবনা নেই বলে এতদিন নানা মহলের তরফে দাবি করা হচ্ছিল, সেই তিন নেতা একসাথে মঞ্চে উপস্থিত হয়ে একতার বার্তা দিলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, এদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসের মঞ্চ থেকেই “আমার পরিবার বিজেপি পরিবার” শীর্ষক সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচি শুরু করল ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ মনীষীর প্রয়াণ দিবসে মধ্যে দিয়ে বিজেপি আগামী দিনে বাংলার ক্ষমতা দখলের জন্য উদ্যোগী হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি স্বাধীনতা পূর্ব যুগের বিপ্লবীদের উদ্বুদ্ধ করেছিল। আর শ্যামাপ্রসাদ স্বাধীনতার আগে এবং পরে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কাশ্মীরে সংবিধানের 370 অনুচ্ছেদ বিলোপ করে শ্যামাপ্রসাদের স্বপ্ন পূরণ করেছেন মোদি শাহ। আমাদের দল বরাবরই বাঙালির প্রতি নিবেদিত‌।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাইছি, রাজ্যে কবিগুরুর বাণীকে সফল করে মানুষ মাথা উঁচু করে বাচুক। তাই বিভিন্ন দলের মত ও পথের মানুষ বিজেপিকে এসে পরিবর্তনের স্বপ্ন পূরণ করুন। তৃণমূলে লড়াই করে এখন যারা হতাশ, তারাও আসুন।” অর্থ্যাৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম দিবসে শ্যামাপ্রসাদের কথা বলে নিজেদের বাংলাপ্রেমী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন দিলীপ ঘোষ। যদিও বা দিলীপবাবুর এই বক্তব্যকে খন্ডন করে বিজেপিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

তিনি বলেন, “রবীন্দ্র-নজরুলের বাংলায় ঐতিহ্য সংস্কৃতি কিভাবে রক্ষা করতে হয়, আমরা তা করে দেখাচ্ছি। রাজ্যের জনগণ জানে, কাকে কি জবাব দিতে হয়। সময় এলে দিলীপবাবু সমুচিত শিক্ষা পেয়ে যাবেন।” তবে ফিরহাদ হাকিম যে কথাই বলুন না কেন, তারা এতদিন বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলাপ্রেমের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু এবার কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসে যেভাবে বিজেপি ঘটা করে তা পালন করল, তাতে তারা তৃণমূলের এই বক্তব্যকে কার্যত মিথ্যে বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করল বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!