এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > এবার জলেও করোনা? সামনে এল নতুন তথ্য, বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কারে ঘুম উড়তে চলেছে জনসাধারণের!

এবার জলেও করোনা? সামনে এল নতুন তথ্য, বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কারে ঘুম উড়তে চলেছে জনসাধারণের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সারা বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি এমনিতেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যেই ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে মানবজাতি রীতিমত কোণঠাসা। কারণ এই মুহূর্তে করোনার বিরুদ্ধে কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক অস্ত্র হিসেবে মানুষের হাতে নেই। অন্যদিকে দিনরাত এক করে বিশ্বের বিভিন্ন কোণে বিজ্ঞানীরা ও গবেষকরা প্রতিষেধক আবিষ্কার এর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তার মধ্যেই করোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়ে। আর সেই গবেষণার ভিত্তিতে একের পর এক এমন তথ্য উঠে আসছে, যা মানুষের আতঙ্ককে আরো বাড়িয়ে চলেছে।

ঠিক সেরকমই একটি নতুন তথ্য উঠে এলো করোনা গবেষণায়। জানা যাচ্ছে, গুজরাতের একদল বিজ্ঞানী করোনা সংক্রান্ত যে গবেষণা করছিলেন, তাতে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, দেশের মধ্যে যে দূষিত জল আছে তার মধ্যেই করোনা ভাইরাসের জীবাণু রয়েছে।

সূত্রের খবর, এই প্রথম ভারতবর্ষে জমে থাকা দূষিত জল পরীক্ষা করে তার মধ্যে করোনা ভাইরাসের নজির পাওয়া গেছে। অবশ্যই দূষিত জল থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়ায় কিনা তা নিয়ে কোন যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষ বার্তা পাওয়া যায়নি। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, এই নোংরা জল যদি সনাক্ত করা হয়, তাহলে তার ভিত্তিতে করোনা আক্রান্ত জনসংখ্যার কিছুটা ছবি পরিষ্কার হবে।

জানা গেছে, আইআইটি-গান্ধীনগর, গুজরাট বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার (জিবিআরসি) এবং গুজরাট দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (জিপিসিবি) গবেষকরা গুজরাটের আমেদাবাদের ওল্ড পিরানা ওয়েস্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট সেন্টার থেকে মে মাসের 8 তারিখ এবং 27 তারিখ তাঁদের বিশেষ গবেষণার জন্য জলের নমুনা সংগ্রহ করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ, এই পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রতিদিন 10.6 কোটি লিটার দূষিত জল আসে গুজরাটের বিভিন্ন করোনা হাসপাতাল থেকে। অতএব এই দূষিত জলের নমুনা থেকে সংগ্রহ করে পরীক্ষায় দেখা গেছে, উভয় দিনেই পরীক্ষাতেই করোনার জীবাণু রয়েছে। তবে দেশের আগেও বিদেশের বিজ্ঞানীরা দূষিত জলে করোনা ভাইরাসের জীবাণু আছে বলে দাবি জানিয়েছে। ইতালির জাতীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিজ্ঞানীরা 2019 সালের অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে জমে থাকা দূষিত জল পরীক্ষা করেছিলেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন করোনা চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যাবে কিনা তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। কিন্তু এদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সম্পূর্ণরূপে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন করোনা চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে পারবে না। ইতিমধ্যে আমেরিকায় এই ওষুধের ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

কিন্তু জানা গেছে, ভারতে এখনো কিন্তু ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করেই করোনা সংক্রমণকে আটকানো চলছে। অন্যদিকে জমে থাকা জলে করোনা ভাইরাসের জীবাণু মেলায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে সাধারণের মনে। যদিও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জলে করোনা জীবাণু আছে ঠিকই কিন্তু তা রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা করছে কিনা তা এখনও প্রমাণ হয়নি।

তবে এই তথ্য সামনে আসার ফলে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা যে বহুগুণে বৃদ্ধি পেল সে কথা নিঃসন্দেহে বলে দেওয়া যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বর্তমানে সতর্কতা ও সাবধানতা যে বিশেষভাবে দরকার সে কথা জানাতে ভোলেননি গবেষকরা ও চিকিৎসকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!