রাতের অন্ধকারে বড়সড় দুর্ঘটনার মুখে পড়লেন তৃণমূল সাংসদ, তীব্র চাঞ্চল্যের সূত্রপাত তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য August 8, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অধিকারী পরিবারের বড় ছেলে হলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। এখনও তিনি তমলুকের তৃণমূল সাংসদ হিসেবে রয়েছেন খাতায় কলমে। তাঁর বাবা শিশির অধিকারীও কাঁথির তৃণমূল সাংসদ। অন্যদিকে ভাই শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা। আরেক ভাই সৌমেন্দু অধিকাড়ীও বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। এই অবস্থায় দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন সময় তাঁকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তীব্র কটাক্ষ করা হয়। কিন্তু প্রশাসনিক কাজকর্ম তিনি আগের মতোই করছেন। কাজ শেষে ফেরার পথে এবার বড়োসড়ো দুর্ঘটনার মুখে পড়লেন তিনি। সূত্রের খবর, রাজ্যের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী তমলুক থেকে ফেরার পথে বড়সড়ো দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। অভাবনীয়ভাবে তাঁর কোনো আঘাত লাগেনি বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, শনিবার রাতের দিকে তিনি তমলুক থেকে ফিরছিলেন কাঁথি জাতীয় সড়ক ধরে। সে সময় একটি লরি এসে সাংসদের গাড়িকে ধাক্কা মারে, সে সময় গাড়িতে ছিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী স্বয়ং। তবে দুর্ঘটনায় সাংসদ অক্ষত থাকলেও তাঁর গাড়িটির যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে যে ঘাতক লরিটির ধাক্কায় এই বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেই লরিটিকে কিন্তু এখনো ধরা যায়নি। একইসাথে জানা গেছে, ঘাতক লড়িটির চালক পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল থেকেই পলাতক। ইতিমধ্যেই পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। খাতায়-কলমে দিব্যেন্দু অধিকারি তৃণমূল সাংসদ হলেও তিনি কিন্তু এখনও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাচ্ছেন। অথচ রাজ্যের তরফ থেকে তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। যদিও তমলুকের সাংসদ কিন্তু আজ পর্যন্ত বিজেপিতে যাওয়ার কথা তিনি বলেননি। অথচ রাজ্য সরকার আগেভাগেই তাঁর নিরাপত্তা কেন তুলে নিয়েছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে সমালোচনা। তবে এই ঘটনার সঙ্গে নিরাপত্তার অভাব যুক্ত করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এখনো পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাংসদের দুর্ঘটনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে পুলিশ তদন্তে এই দুর্ঘটনার পেছনে অন্য কোও তত্ত্ব উঠে আসে কিনা সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক যোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আপনার মতামত জানান -