এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > জেলা কমিটি ঘোষণার পরেই তীব্র দ্বন্দ্ব-বিক্ষোভ শুরু বিজেপিতে! অস্বস্তি বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে!

জেলা কমিটি ঘোষণার পরেই তীব্র দ্বন্দ্ব-বিক্ষোভ শুরু বিজেপিতে! অস্বস্তি বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট এতদিন পর্যন্ত শাসক দল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব খবরের শিরোনামে থাকত সবসময়। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে, গেরুয়া শিবিরেও একই রকম অশান্তির কালো মেঘ ঘনিয়ে উঠেছে। গেরুয়া শিবিরের জোরালো সংগঠনের দাবি ক্রমশ ফিকে হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অশান্তি এতটাই মাথাচাড়া দিয়েছে, যাতে এবার সংগঠন ভেঙ্গে পড়ার অবস্থা হচ্ছে বলে মত অনেকের। কিছুদিন আগে মুকুল বিজেপি দ্বন্দ্ব নিয়ে শুরু হয়েছিল গেরুয়া শিবিরে তীব্র বিতর্ক। আর এবার দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপি সংগঠনে শুরু হলো মারাত্মক অশান্তি।

সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরে নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আর তার পরেই প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার কয়েকশো বিজেপি কর্মী দলের জেলা পার্টি অফিস এবং সংসদ সদস্যের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় বিজেপির অন্যান্য নেতাদের। এদিন বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন, বিজেপির নতুন ঘোষিত জেলা কমিটিতে যাঁরা স্থান পেয়েছেন তাঁরা অধিকাংশই অন্যান্য কর্মীদের কাছে অপরিচিত।

এই কমিটি পক্ষপাতদুষ্ট বলে মত বিক্ষোভকারীদের। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন, বিজেপির কোন কার্যক্রমেই তাঁদের দীর্ঘদিন ধরেই ডাকা হয়না। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন জানিয়েছেন, এটি দলগত সমস্যা। সবার সাথে কথা বলে সমস্যা মেটানো হবে। অন্যদিকে বালুরঘাটের সংসদ সদস্য বিজেপির সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ দায়ভার পুরোপুরি চাপিয়ে দিয়েছেন বুথ ও মন্ডল সভাপতিদের ওপর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে একাধিকবার বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মনকে ফোন করলেও তিনি ফোন তোলেন না। তবে বিক্ষোভ সামলাতে বিজেপির কিছু নেতা প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেন এদিন। তাঁরাই বিক্ষোভকারীদের শান্ত করে জানান, জেলা সভাপতির সঙ্গে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিজেপি নেতা তথা গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন মন্ডল সভাপতি সনাতন কর্মকার অভিযোগ জানিয়েছেন অনেক পুরনো বিজেপি কর্মীকে দলে আর সেভাবে পাত্তা দেওয়া হয়না। এমনকি তাঁদের কোন বৈঠকেও ডাকা হয়না বলে তিনি জানান।

এদিন তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই সমস্যার যদি দ্রুত সমাধান না হয়, তাহলে আরো ব্যাপকভাবে বিক্ষোভ শুরু হবে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যেভাবে বর্তমানে গেরুয়া শিবিরে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তা যদি এখনই না সামাল দেওয়া যায় তাহলে কিন্তু আগামী দিনে বিজেপি শিবিরকে আরো বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হতে পারে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিন্তু গেরুয়া শিবিরকে  একুশের নির্বাচনের আগে রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলছে এবং এই অবস্থা থেকে তৃণমূল যে পুরোপুরি রাজনৈতিক সুযোগ নেবে, সে কথা বলাই বাহুল্য। আপাতত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে বিজেপি এবার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সে দিকেই লক্ষ্য সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!