এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার চুরি আটকাতে কড়া দাওয়াই, শুভেন্দুর ফর্মুলাতে উজ্জীবিত বিজেপি!

মমতার চুরি আটকাতে কড়া দাওয়াই, শুভেন্দুর ফর্মুলাতে উজ্জীবিত বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজ্যজুড়ে হিংসা, সন্ত্রাস এবং চুরি করতে করতে পশ্চিমবঙ্গকে প্রায় শেষের মুখে নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। যেখানেই হাত দেওয়া যাচ্ছে, সেখানেই তৃণমূল নেতাদের চুরি বেরিয়ে পড়ছে। সব জায়গায় দুর্গন্ধতে ভরে গিয়েছে। শিক্ষা দপ্তর প্রায় পুরোটাই জেলে রয়েছে। গরু পাচার নিয়ে তৃণমূলের দোর্দণ্ড প্রতাপ নেতা সেও জেলে। সম্প্রতি জেলে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। তাই মূল মাথা কবে জেলে যাবে এবং যারা চুরি করছে, তারা কেন এখনও বাইরে রয়েছে, এই প্রশ্ন অনেকেরই। তবে এই চুরিকে একদম সমূলে উৎপাটিত করতে হলে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে আরও শক্তিশালী হতে হবে। আরও বেশি করে তাদের মূল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। মানুষের মধ্যে থেকেই এই দাবি উঠছে। আর এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চোরেদের অবিলম্বে জেলে ঢোকানোর পক্ষে সওয়াল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন শুভেন্দুবাবুকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এদের কাউকে বাইরে রাখা যাবে না। একজন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান, আমার কাছে খবর রয়েছে, ধান কেনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে। ও দেড় কোটি টাকায় ডিল করেছে। এরা সব চোর। এই চোরেদের চুলের মুঠি ধরে ভেতরে ঢোকাতে হবে।” এখন শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য নিয়ে তৃণমূল অনেক কথা বলতে পারে। কিন্তু তারা যে চুরি করেছে, এটা কোনো মতেই স্বীকার করে ব্যর্থতার দায় নিয়ে তৃণমূল নেতারা ইস্তফা পর্যন্ত দিচ্ছে না। আসলে লজ্জা না থাকলে যা হয়। মুখ্যমন্ত্রী যেমন, তার দলের নেতারাও তেমন। এরা নিজে থেকে ইস্তফা দিয়ে সরে যাবে না। এদের চরম শাস্তি, কড়া পদক্ষেপ। তাই চুরি আটকাতে হলে এবং রাজ্যকে সর্বনাশের মুখ থেকে বাঁচাতে হলে শুভেন্দু অধিকারীর ফর্মুলাতেই সকলকে হাটতে হবে এবং রাজ্য জুড়ে আওয়াজ তুলতে হবে, চোরেদের এবার গ্রেপ্তার চাই।

বিজেপির দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কেষ্ট মন্ডলরা চুরি করেছেন, আর সেই চুরিতে ওপরতলায় থাকা তৃণমূলের সর্বেসর্বারা প্রশ্রয় দেয়নি, এটা হতেই পারে না। যারা এই চুরির মূলমাথা, তারা কেন বাইরে থাকবে? আজকে সেই মাথারা গ্রেপ্তার হয়নি বলেই ছোট ছোট চোররা এখনও পর্যন্ত চুরি করেই চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে, আর সেই টাকাকে নিজেদের স্বার্থে নিজেদের পকেটে ঢোকাচ্ছে তৃণমূলের রাঘববোয়ালরা। তাই সময় নষ্ট অনেক হয়েছে। এবার চাই পদক্ষেপ। এক ফোঁটাও সুযোগ না দিয়ে যে রাজ্যকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়েছে এই চোর তৃণমূলের নেতারা, তাদেরকে টেনে হিঁচড়ে কোমরে দড়ি বেঁধে জেলে ঢোকানো উচিত। আর যেদিন এই দৃশ্য সামনে আসবে, সেদিনই পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পরিত্রাণ পাবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কত সুন্দর ভাবে মানুষকে মিথ্যে গল্প বলে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বক্তব্যে বিশ্বাস করে মানুষ তৃণমূলকে তিনবার রাজ্যের ক্ষমতা তুলে দিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এত চুরি সামনে আসার পরেও সেই মুখ্যমন্ত্রী তার দলের নেতাদের শোধরাতে পারছেন না। আসলে চুরি করতে করতে হাত পেকে গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। মানুষের টাকা লুট করা যেন তাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। বিরোধীরা যখন লাগাতারা আওয়াজ তুলছে যে, গ্রেফতার চাই, আসল কেষ্ট বিষ্টুদের তখন সততার গান গাইতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে এসব করে লাভ হবে না। অদৃষ্টের নিষ্ঠুর পরিহাসে চুরি করলে জেলে যেতেই হবে। আর তার পরিনাম হবে ভয়ংকর। যেদিন এই রাজ্য মুক্ত হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিয়ে বলতে পারবে, হীরক রানী বাই বাই। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!