এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > BREAKING NEWS – স্যাটে হয়ে গেল DA মামলার শুনানি, কি হল জেনে নিন বিস্তারিত

BREAKING NEWS – স্যাটে হয়ে গেল DA মামলার শুনানি, কি হল জেনে নিন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘদিন বঞ্চিত হতে হতে শেষে একপ্রকার বাধ্য হয়েই আইনের রাস্তায় যেতে বাধ্য হয়। দীর্ঘ সিনি লড়াইয়ের শেষে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় – ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক অধিকার, কোনো মতেই রাজ্য সরকারের দয়ার দান নয়। একই সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট স্যাটকে নির্দেশ দেয় ডিএর হার কি হবে এবং তা বছরে কতবার করে দেওয়া হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে।

স্যাটও এই সংক্রান্ত দীর্ঘ শুনানির পর জানিয়ে দেয়, যেহেতু রাজ্যের কোনো নিজস্ব প্রাইস ইনডেক্স নেই, তাই কেন্দ্রী হারেই ডিএ দিতে হবে। একই সঙ্গে, ২০০৬ সল্ থেকে বকেয়া থাকা সমস্ত ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। শুধু তাই নয়, এই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারকে রায়ের দিন থেকে শুরু করে (২৬ শে জুলাই, ২০১৯) এক বছর বা যদি তার আগে পে কমিশন ঘোষণা হয়, তাহলে তার আগে (দুটির ক্ষেত্রে যেটি আগে হবে) এই বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে।

রাজ্য, এর মধ্যে ২০২০ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে নতুন পে কমিশন চালু হবে বলে জানিয়ে দেয়। কিন্তু সেখানে ডিএ সংক্রান্ত কোনো উল্লেখ ছিল না। ফলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩ টি সংগঠন – কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ীজ, ইউনিটি ফোরাম ও সরকারি কর্মচারী পরিষদ – পৃথক পৃথক ভাবে আদালত অবমাননার মামলা করে। কিন্তু, রাজ্য সরকার এর বিরুদ্ধে আগেই একটি রিভিউ পিটিশন করেছিল। যদিও বিভিন্ন ত্রুটি থাকার জন্য সেই পিটিশন বাতিল করে দেয় স্যাট।

কিন্তু, আজ পুনরায় রাজ্য সরকারের তরফে সেই ত্রুটি সংশোধন করে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়। রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়, প্রথমত, স্যাটের এই রায় মানতে গেলে বিপুল পরিমান আর্থিক বোঝার ঝক্কি সামলাতে হবে। রাজ্য কোষাগারের অবস্থা খারাপ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করতে সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া, এই ব্যাপারে আইনি পরামর্শ করতেও সময় লেগেছে। তাই আদালতের রায় অনুযায়ী এই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়েছে। তাই যেন রিভিউ পিটিশন গ্রহণ করা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও রাজ্য সরকারের এই যুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেন ৩ টি সংগঠনেরই আইনজীবীরা। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, রাজ্য সরকার রায়ের কপি তুলতেই ২৪ দিন সময় নিয়েছিল – সুতরাং, স্যাটের রায় মানতে রাজ্য সরকার কতটা আন্তরিক – এখানেই প্রশ্ন উঠে যায়! এই ব্যাপারে সহমত হন স্যাটের বিচারপতিরাও। কিন্তু, যুক্তি-ট্রাকের জালে দিনের শেষে – স্যাট রাজ্য সরকারের রিভিউ পিটিশন গ্রহণ করে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ৯ ই জানুয়ারি দিন ধার্য্য করা হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য নেতা সুবীর সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাজ্য সরকার যে সরকারি কর্মচারীদের বঞ্চিত করে ডিএ দিতে চায় না – তা এখনো পর্যন্ত হওয়া আইনি লড়াইয়েই স্পষ্ট। কিন্তু, আমরাও এত সহজে সরকারি কর্মীদের হকের পাওনা ছেড়ে দেব না। এর জন্য যতদূর যেতে হয়, আমরা আইনি পথে সেই লড়াই করতে প্রস্তুত আছি। রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য আমরা সুবিচার নিয়ে আসবই। তাঁদের হাতে তাঁদের ন্যায্য পাওনা আমরা তুলে দেবই।

অন্যদিকে, সরকারি কর্মচারী পরিষদের রাজ্য আহ্বায়ক দেবাশীষ শীল জানান, বর্তমান রাজ্য সরকারের মত কর্মচারী বিরোধী সরকার আজ পর্যন্ত ভূ-ভারতে কোনোদিন আসে নি। খেলা-মেলা-কার্ণিভ্যালের পয়সা আছে, আর সরকারি কর্মচারীদের হকের পাওনা দিতে গেলেই – হাতে ললিপপ ধরিয়ে দেয়! রাজ্য সরকার এত যে উন্নয়নের গর্ব করে, সেই উন্নয়ন যাঁদের হাত ধরে হচ্ছে, সেই সরকারি কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারকে চূড়ান্ত বঞ্চিত করে তাঁদের চোখের জল বের করে দিচ্ছে এই সরকার।

দেবাশীষবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আমরা আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাস্তার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের কাছ থেকে সরকারি কর্মীদের ন্যায্য বকেয়া আদায় করে তবে ছাড়ব। প্রসঙ্গত, নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে নতুন পে-কমিশন চালু করার কথা ঘোষণা রাজ্য সরকার করে দিলেও, যেহেতু সেই অর্ডারে ডিএ নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য নেই – তাই আদতে বেতন কত বাড়বে, বা আদৌ বাড়বে কিনা সেই নিয়ে তীব্র সংশয়ে আছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এই অবস্থায় স্যাট ডিএ নিয়ে তাঁদের পক্ষে সদর্থক কিছু জানায় কিনা – সেদিকেই এখন পাখির চোখের মত তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!