প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ত্রিপুরার সায়নী ঘোষের গ্রেপ্তারি নিয়ে ধুন্দুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে দিল্লিতে ধরনা দিতে চলেছে তৃণমূল, সাক্ষাৎ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। এদিকে আজ ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই সমস্ত পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানালেন, ত্রিপুরাতে পুলিশ যা করেছে, তা ঠিক করেছে। সেখানে গিয়ে কেউ ধমকাবেন, কেউ চমকাবেন।

দিলীপ ঘোষ জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বলা হয়েছে, খেলা হবে। এত হিম্মত হয় কি করে? তৃণমূল ভেবেছিল, এটা বোধয় বাংলার পুলিশ। কিন্তু ওটা ত্রিপুরার পুলিশ। রাজনীতি করতে গিয়েছেন করুন। একজন মেয়রও সেখানে গিয়ে হুমকি দিয়েছেন। তার নামেও কেস হওয়া উচিত। তিনি জানালেন, ত্রিপুরায় এখন উল্টো হচ্ছে। বুঝতে পারছেন, গণতন্ত্র কিরকম? দিলীপ ঘোষ জানালেন, চুনোপুটি নেতাকে ঢিল পাটকেল মেরে দিলে কষ্ট পাচ্ছে কেন তৃণমূল? ত্রিপুরার মানুষেরা এখন ডেমো দিচ্ছেন। তিনি জানেন না খেলা যখন শুরু হবে, তখন কি হবে?

আবার, ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর মিছিলের অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর মিছিলের অনুমতি কেন দেয়া হয়নি? তা পুলিশ বলতে পারবে। এখানে অনুমতি দেয় না। খেলা হয় কিন্তু বিজেপিকে মিছিল করতে দেয়া হয় না। সায়নী ঘোষের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে তিনি আরও জানালেন, জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হতে পারে। সবে শুরু হয়েছে। তৃণমূল সাংসদরা সব জায়গায় যান। কিন্তু এখনও অনেকেই টিকিট ক্যানসেল করছেন। গোয়াতেও এই অবস্থা হয় কিনা? সেটা ভেবে যেতে।

মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় কোথায় যাবেন? তা তিনি ঠিক করুন। গোয়া, ত্রিপুরা বাংলা হবে? মানুষ কখনই সেই সুযোগ দেবেন না। তিনি জানালেন, সমস্ত দুষ্কৃতিরাই আছে তৃণমূলে। ত্রিপুরাতে এত লোক যাচ্ছেন, কেউ তো এমন বলেন না। মুখ্যমন্ত্রীকে ভেবেচিন্তে গোয়া সফরের পরামর্শ দিলেন দিলীপ ঘোষ।