এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপিকে নিয়ে নো টেনশন! লক্ষ্য একটাই, সাফ জানালেন শুভেন্দু!

বিজেপিকে নিয়ে নো টেনশন! লক্ষ্য একটাই, সাফ জানালেন শুভেন্দু!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপি একটি সর্বভারতীয় রাষ্ট্রবাদী দল। এই সম্পর্কে তৃণমূলের সন্দেহ থাকতে পারে। কিন্তু বিজেপি বিরোধী অন্যান্য দলগুলোও গেরুয়া শিবিরের নীতি এবং উদ্দেশ্য খুব ভালো মত জানে। তাদের কাছে দেশপ্রেম সবার আগে। কিন্তু বিজেপি নেতাদের থেকেও বেশি এই রাজ্যের বেশ কিছু কুচুটে শাসক দলের নেতারা রয়েছেন, যারা সেই দলকে নিয়ে বেশি ভাবছেন। বিজেপির ভেতরের খবর প্রকাশ্যে চলে আসছে বলে তারা দাবি করছেন। এমন একটা ভাব, যেন তারা বিজেপি দলকে পরিচালিত করেন। আসলে এসব খবর হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। বঙ্গ বিজেপি যে লক্ষ্য নিয়ে লড়ছে পিসি-ভাইপোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য, সেই লক্ষ্য যাতে ভ্রষ্ট না হয়, তার জন্যই বিজেপির মধ্যে একটা গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছেন অনুপ্রাণিত চটি চাটাদের একাংশ। বিজেপির ঘনিষ্ঠমহলের বক্তব্য এমনটাই। আর এই পরিস্থিতিতে এবার শুভেন্দু অধিকারীও এক প্রশ্নের উত্তরে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন যে, বিজেপিকে নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।

প্রসঙ্গত, এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “বিজেপির ভেতরের খবর কখনও বাইরে আসে না। বিজেপি একটি শৃঙ্খলা পরায়ণ এবং রাষ্ট্রবাদী দল। আমাদের একটাই লক্ষ্য, পিসি-ভাইপো এবং এই তৃণমূলের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা। আর সেই লক্ষ্যেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।” অনেকেই দাবি করছেন যে, বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের সেটিং হয়ে গিয়েছে। বঙ্গ বিজেপির নেতারা যতই তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করুন, ওপরতলায় দুই দলের নেতাদের মধ্যে একটা গোপন আন্ডারস্ট্যান্ডিং তৈরি হয়েছে। যার ফলে অনেক নেতারা হয়ত জেলে যাচ্ছে। কিন্তু মূল মাথারা কখনই জেলে যাবে না। তাদেরকে রেখে লড়াই লড়াই খেলা দেখিয়ে ভেতরে সমঝোতা করে নেবেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু এসব যে বিভ্রান্ত ছাড়া আর কোনো কিছুই নয়, তা স্পষ্ট করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যে দলের বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি দম বন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করে দিচ্ছেন তৃণমূলের অন্দরে, সেখানে বিজেপি সেই তৃণমূলের সঙ্গে আন্ডারস্ট্যান্ডিং করবে, এটা আর যাই হোক শুভেন্দু অধিকারী মেনে নিতে পারবেন না। তাই শুভেন্দুবাবুও খুব ভালো মতো জানেন যে, বিজেপির রাজ্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সকলেই চাইছেন, তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে। আর সেই কারণেই একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পরিবারবাদ এবং তোষণবাদকে বিদায় জানানোর জন্যই বিজেপির এই লড়াই বলেই মনে করছেন একাংশ।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, বিজেপি যে পরিমাণ শ্রম এই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে দিচ্ছে, তাতে খুব তাড়াতাড়ি তৃণমূলের বিদায় আসন্ন। বাংলার মানুষ বিকল্প হিসেবে বিজেপিকে বেছে নিয়েছেন। এই রাজ্যে চুরি, হিংসা, দুর্নীতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। তাই ভোটব্যাংকের মাধ্যমেই তৃণমূল উপযুক্ত জবাব পাবে। খুব শীঘ্রই পিসি- ভাইপোরাজ থেকে মুক্তি পাবে বাংলা বলেই দাবি পদ্ম শিবিরের।পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ক্ষমতা ভোগ করার মত অনেক কিছু বিষয় ছিল। তাকে শেষ পর্যন্ত দলে রাখার জন্য কম চেষ্টা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ভাইপো। কারণ তারাও জানতেন যে, শুভেন্দু অধিকারী যদি দল বদল করেন, তাহলে তারা কতটা ক্ষতির মুখে পড়বেন! এখন তারা সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। আর শুভেন্দু অধিকারীও আর যাই হোক, সেটিং করা বিরোধী দলনেতা নন। চোখে চোখ রেখে লড়াই করে মানুষের আওয়াজটাই শোনা যাচ্ছে তার গলায়। তাই এই পরিস্থিতিতে সেই শুভেন্দু অধিকারী আরও একবার গুঞ্জনের মাঝে স্পষ্ট করে দিলেন, তার লক্ষ্য। বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এবং তার দল এই পিসি ভাইপোকে ক্ষমতাকচ্যুত করার জন্য, বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করার জন্য সমস্ত লড়াই করবেন। এক্ষেত্রে দ্বিধা দ্বন্দের কোনো অবকাশ নেই। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!