এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখতে গিয়ে কি প্রশান্ত কিশোরের শেষ চেষ্টা ব্যর্থ করলো সাংসদ? উঠছে প্রশ্ন!

তৃণমূলের প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখতে গিয়ে কি প্রশান্ত কিশোরের শেষ চেষ্টা ব্যর্থ করলো সাংসদ? উঠছে প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শাসক দলের মাথাব্যথা ক্রমশ বাড়ছে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে। তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে নানা মুনির নানা মত। গত ১০ ই নভেম্বর গোকুলনগরের জনসভা থেকে হুংকার দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি একাধিক কুবাক্যর প্রয়োগ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর অনুগামীদের একেবারে ‘তুই তোকারি’ ভাষায় আক্রমণ করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতেই শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে গিয়েছিলেন ভোট কুশলী পিকে, তাঁর রাগ ভাঙানোর চেষ্টাতে। তবে, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুবাক্যতে শুভেন্দু অধিকারী রাগ ভাঙানোর কাজ যে অনেকটাই ব্যর্থ হলো, এটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।

বস্তুত, গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের এক দলীয় সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে একাধিক কুবাক্য প্রয়োগ করে, তাঁকে তুই-তোকারি ভাষায় আক্রমণ করলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তুই-তোকারি ভাষায় আক্রমণ করে তিনি জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী না থাকলে তাকে পৌরসভার কাছে আলু বিক্রি করতে হতো। শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের প্রতি তিনি জানালেন যে, তাঁর অনুগামীরা যেন তাঁর সঙ্গেই চলে যায়। এর হিসাব পরে বুঝবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিলেন যে, তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করলে ঘরে ঢুকতে দেয়া হবে না।

নিজের কুকথার উপর কোন লাগাম টানতে পারলেন না তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা তাঁর প্রতি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হলেন। সেদিনের সভায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে গাছের তলায় বড় হয়েছিল চারটি মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে মিউনিসিপালিটি তে আলু বিক্রি করতে হতো।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কুকথার প্রয়োগ করতে গিয়ে শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের বারবার অপদস্ত হতে হয়েছিল। অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করতে গিয়ে শালীনতার সীমা অতিক্রম করেছেন। যে কারণে, কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের দূরত্ব কমাতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর সঙ্গে ৪ জনকে নিয়ে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পিকের ফোনে মিনিট পাঁচেক কথাও নাকি হয়েছিল। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য, দূরত্ব আরও বাড়াবে বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতামত।

অনেকেই বলছেন যে, শাসকদল তৃণমূলের প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখাতে গিয়েই, শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে কুবাক্য প্রয়োগ করে প্রশান্ত কিশোরের চেষ্টাকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ করে দিলেন দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরআগেও কুথার কারণে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল দলের বহু নেতা-নেত্রীদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!