এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দুই সাংসদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ তৃণমূলের, তটস্থ বিদ্রোহীরা!

দুই সাংসদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ তৃণমূলের, তটস্থ বিদ্রোহীরা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট সাংসদ যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। আর সেই সময় থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, দুই সাংসদ বিজেপিতে যোগ দিলেও কেন তারা সাংসদ পদে ইস্তফা দিলেন না! এক্ষেত্রে দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তার জন্য যে লোকসভার স্পিকারের কাছে আবেদন করবে তৃণমূল কংগ্রেস, তা শাসকদলের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আর তৃতীয়বার তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুই সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিল ঘাসফুল শিবির।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল এবং কাথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তৃণমূলের প্রতীকে তারা জয়লাভ করলেও, এখন তারা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাদের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার কথা। তাই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের মুখপাত্র দাবি তুলতে শুরু করেছেন, অবিলম্বে যেন এই দুই সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

অর্থাৎ এতদিন নির্বাচনী লড়াই সহ নানা বিষয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে তৃণমূল এই ব্যাপারটি সেভাবে আলোকপাত না করলেও, তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই এবার দলত্যাগী সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার রাস্তায় হাঁটতে চলেছে ঘাসফুল শিবির। যার জেরে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই এই দুই সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং তাদের সাংসদ পদ খারিজের জন্য তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার অধ্যক্ষকে একটি চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও সুনীল মণ্ডল এবং শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের ক্ষেত্রে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এই বিষয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের এক মুখপাত্র। যেখানে দুই সাংসদের সাংসদ পদ খারিজের জন্য কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। আর দুই দলত্যাগ করা সাংসদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ায় কার্যত শোরগোল তৈরি হয়েছে ঘাসফুল শিবির সহ বাংলার রাজনৈতিক মহলে। পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল কংগ্রেস অপেক্ষা করছিল, তারা তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার জন্য। এক্ষেত্রে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরেই এখন রীতিমত দলত্যাগ করা নেতা-নেত্রীদের শায়েস্তা করতে নানা কৌশল অবলম্বন করতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির।

সেদিক থেকে তৃণমূলের টিকিটে দুই সাংসদ বিজেপিতে যাওয়ার পরেও তাদের সাংসদ পদ খারিজ করা হয়নি। তাই এই পরিস্থিতিতে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে দরবার করা সত্ত্বেও কেন তাদের সাংসদ পদ খারিজ করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র। যার জেরে তৃণমূলের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দুই দল বদল করা সাংসদ তাদের জনপ্রতিনিধি পদ রাখা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তার মুখে পড়ে গেলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!