এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জনরোষে তৃণমূল নেতা, সিভিকের বাড়িতে আশ্রয় নিলেন হেভিওয়েট! উত্তাল সন্দেশখালি!

জনরোষে তৃণমূল নেতা, সিভিকের বাড়িতে আশ্রয় নিলেন হেভিওয়েট! উত্তাল সন্দেশখালি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সন্দেশখালির মানুষের তৃণমূল নেতাদের ওপর কতটা রাগ ছিল, তা প্রত্যেক দিন, প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে প্রমাণিত হচ্ছে। বাঘ বলে এলাকায় পরিচিত শেখ শাহজাহানকে এখন তো খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি নাকি কোথাও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। রাজ্য পুলিশ নাকি তাকে খুঁজেই পাচ্ছে না। কিন্তু এর ফলে বিপদ বাড়ছে বাকি তৃণমূল নেতাদের। সম্প্রতি অজিত মাইতি যেভাবে জনতার বিক্ষোভে পড়েছিলেন, তাতে তিনি মনে রাখবেন সেই মুহূর্তটা। আর এবার আজ আবারও মহিলাদের জনরোষ আছড়ে পড়ল সেই তৃণমূল নেতাকে কেন্দ্র করে। যার ফলে পরিমড়ি করে ছুটে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হলেন সেই অজিত মাইতি।

আর এখানেই অনেকে বলছেন যে, এই ঘটনাতেই স্পষ্ট, মানুষের কতটা রাগ রয়েছে এই তৃণমূলের ওপরে। কি পরিমান যন্ত্রণা এই অজিত মাইতি এবং তার ওপর তলার নেতারা এই এলাকার মানুষকে দিয়েছেন! যার ফলে আজকে কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে সাধারণ মানুষ তাদের রাগ প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে জানান দিচ্ছেন। আর জনতার এই প্রতিবাদই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, তৃণমূল নেতারা যতই বড় বড় ফুটানি দিন না কেন, যতই ভয় দেখান না কেন, মানুষের প্রতিবাদের কাছে সব কিছু ফিকে হয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, এদিন আবারও সন্দেশখালির মহিলারা একত্রিত হয়ে তাদের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। পুলিশের চোখে চোখ রেখে তারা একটাই প্রশ্ন করেন যে, কবে গ্রেফতার করা হবে শেখ শাহজাহানকে! আর সেই সময় অজিত মাইতিকে দেখতে পেয়েই তাকে রীতিমতো তাড়া করতে শুরু করেন গ্রামের মহিলারা। বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপদজনক দেখে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়িতে ঢুকে যান সেই অজিত মাইতি। তবে ভেতরে তিনি থাকলেও, জনতার যে বিক্ষোভ আছড়ে পড়েছে, তাতে তিনি টের পাচ্ছেন, পাপের ফল তাকে কিভাবে ভোগ করতে হচ্ছে! যদিও বা অজিতবাবুর দলের সর্বোচ্চ নেত্রী যে নাটক করেন, সেই একই নাটক তিনিও এদিন করেছেন। বিক্ষোভের মুখে পড়ে তার আবার দাবি যে, তিনি নিজে কি করেছেন, তার কিছুই জানেন না। তিনি কোনো ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। কিন্তু মানুষ বিশেষ করে মহিলারা পুলিশের কাছে একটাই দাবি করছেন যে, অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক এই অজিত মাইতিকে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এলাকায় এক সময় ছড়ি ঘুরিয়েছেন এই অজিত মাইতির মত নেতারা। আজকে জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে তাকে গুটিসুটি মেরে থাকতে হচ্ছে, পালিয়ে বাঁচতে হচ্ছে। তাই রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় যে সমস্ত তৃণমূল নেতারা এখনও মানুষের ওপর চোখ রাঙ্গাচ্ছেন, তাদের কিন্তু বিপদের দিন আসছে। তারা অন্তত সন্দেশখালির তৃণমূল নেতাদের এই দুর্দশা থেকে একটু শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করুন। তা না হলে সন্দেশখালির প্রতিবাদ থেকে সাহস নিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে অত্যাচারিত মানুষেরা তৃণমূল নেতাদের একঘরে করে দিতে বেশি সময় নেবে না। কারণ পুলিশ প্রশাসন দিয়ে ভয়ে দেখানোর দিন শেষ। মানুষের যে জন জাগরণ হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, তৃণমূলকে আর কেউ ভয় পায় না। অজিত মাইতি নিজেও হয়ত ভাবতে পারেননি যে, এই দুর্দশার দিন তার ক্ষেত্রে আসবে যে, তাকে কিনা সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়িতে মহিলাদের জনরোষ থেকে বাঁচার জন্য আশ্রয় নিতে হবে! সুতরাং পাপ কাজ করলে এই জন্মেই তার ফল ভোগ করে যেতে হয়। এটা ভালো করে মাথায় ঢুকিয়ে নিন তৃণমূল কংগ্রেসের ছোট, বড়, মাঝারি মাপের নেতারা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!