এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি পদে বদল? দল-প্রশাসনকে একাকার করলেন মমতা! বিধলেন শুভেন্দু!

তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি পদে বদল? দল-প্রশাসনকে একাকার করলেন মমতা! বিধলেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  বিরোধী নেতারা মাঝেমধ্যেই বলেন, তৃণমূল তো কোনো দল নয়, এটা একটা লিমিটেড কোম্পানি। এখানে পিসি ভাইপো যেটা বলবে, সেটাই শেষ কথা। আর কারও কোনো মূল্য নেই। আর যত দিন যাচ্ছে, ততই আর একটা কথা বলতে শুরু করেছেন বিরোধী নেতারা যে, পুলিশ প্রশাসনকে দিয়েই সমস্ত কাজ হাসিল করার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিক থেকে সাংগঠনিক দল হিসেবে তৃণমূলের হয়ত একজন রাজ্য সভাপতি রয়েছেন, যার নাম সুব্রত বক্সি। কিন্তু সেই পদেও তলায় তলায় বদল করে ফেলেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তা না হলে এত বড় সমস্যার মুখে যখন রাজ্যের শাসক দল পড়েছে, তখন কেন বারবার সেই সন্দেশখালির সমস্যা সমাধানের জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে পাঠানো হচ্ছে? কেন তৃণমূল সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হয়ে সেখানকার মানুষের কথা শুনতে কোনো সাংগঠনিক নেতাকে পাঠাচ্ছে না! তাই সেই বিষয় নিয়েই কটাক্ষ করতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এমন একটি কথা বললেন, যার ফলে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এই রাজ্যে দল এবং সরকারকে একাকার করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেন এই কথা বলা হচ্ছে? কি এমন বললেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি ইস্যু কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে এবং এই ইস্যুর ফলে কতটা চাপে পড়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তা বোঝাই যাচ্ছে। তাই নিজে সেখানে না গিয়ে দলের কোনো নেতাকে সেখানে না পাঠিয়ে প্রশাসন দিয়ে মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে। সব জায়গায় পুলিশকে দিয়ে ভয় দেখানো এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একটা অন্যতম অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রেও তিনি তাই করছেন। কিন্তু এভাবে যে মানুষের ক্ষোভকে প্রশমিত করা যাবে না, সেটাও হয়ত মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পারছেন। কিন্তু তারপরেও শেষ চেষ্টা করতে তিনি এই রাজ্য পুলিশের ডিজিকে দিয়ে সব কন্ট্রোল করানোর পথে পা বাড়িয়েছেন।

আর এখানেই বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি যা বলেছেন, তার মর্মার্থ করালে দাড়ায় যে, তাহলে কি তৃণমূলের কোনো সাংগঠনিক শক্তি নেই! সেই কারণেই কি রাজ্য সভাপতি হিসেবে সুব্রত বক্সীকে এখানে না পাঠিয়ে বারবার ডিজিকে পাঠাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী! হ্যাঁ, প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে তিনি ডিজিকে পাঠাতেই পারেন। কিন্তু যেভাবে রাজ্য পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, দল এবং প্রশাসনকে এক করে দিয়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। হয়ত প্রকাশ্যে তিনি বলতে পারছেন না। কিন্তু রাজীব কুমারকে দিয়েই দলের মুখে লেগে যাওয়া কালি মোছানোর চেষ্টায় ব্যস্ত এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। স্বাভাবিক ভাবেই সেই কথা বোঝাতে গিয়েই শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষের ছলে বলেছেন, “তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি আর সুব্রত বক্সি নয়। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতির নাম রাজীব কুমার।”

পর্যবেক্ষকদের মতে, গোটা রাজ্য জুড়েই তো এই ট্রাডিশন চালু করেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল দল বলে তো আজকে কিছু নেই। সবকিছুই তো কন্ট্রোল করছে পুলিশ প্রশাসন। আজকে যদি পুলিশ না থাকে, তাহলে তৃণমূল একটা ভোটেও জিততে পারবে না। আর সেটা লোকসভাতেই প্রমাণ হয়ে যাবে। কারণ লোকসভাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। আর তখন মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আর যাই হোক, চোর তৃণমূলকে কোনোমতেই সমর্থন করবেন না। এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবেক কিছুটা হলেও উন্মোচিত হবে, এমনটাই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে সাংগঠনিক দিক থেকে যে তৃণমূলের কোনো শক্তি নেই, এটা নিজের একের পর এক সিদ্ধান্তে বুঝিয়ে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, যিনি নামেই শুধু সেই চেয়ারে বসে রয়েছেন, সব কাজ যে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে দিয়েই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করাচ্ছেন, তা বোঝাই যাচ্ছে। আর তাই শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর রাজনৈতিক সমালোচকরা বলছেন, দল এবং প্রশাসনকে এভাবেই একাকার করে দিচ্ছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!