এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দেখ কেমন লাগে! মহিলা বিক্ষোভে হাঁসফাঁস অবস্থা মমতার প্রিয় সুজিতের!

দেখ কেমন লাগে! মহিলা বিক্ষোভে হাঁসফাঁস অবস্থা মমতার প্রিয় সুজিতের!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সব জায়গায় ম্যানেজার রাজনীতি করার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি ভাবছেন, লক্ষীর ভান্ডারে টাকা দিচ্ছেন, তাই মহিলারা ম্যানেজ হয়ে যাবেন। কিন্তু টাকা নয়, আত্মসম্মান এবং ইজ্জত যে সবার আগে, সেটা সেই লক্ষীর ভান্ডারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে সন্দেশখালির নারী শক্তি প্রমাণ করে দিয়েছে। নিজের মন্ত্রিসভার দুই সদস্যকে পাঠিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন, সবার মুখ বন্ধ করবেন। কিন্তু সেই সবে আর কাজ হলো না। শনিবারের পর রবিবারেও বেড়মজুর এলাকার মহিলারা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুকে ঘিরে যে বিক্ষোভ দেখালেন, তাতে হাঁসফাঁস অবস্থা তৃণমূল কংগ্রেসের। কিন্তু আজ কি হলো সেই সন্দেশখালিতে! কেন আবার গতকালের মত আজকেও খবরের শিরোনামে উঠে আসলো জনজাগরণের আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত সন্দেশখালি!

প্রসঙ্গত, আজ রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুকে দেখামাত্রই সন্দেশখালীর বেড়মজুর এলাকার মহিলারা গর্জে ওঠেন। তারা বিক্ষোভ জানাতে শুরু করেন। পুলিশের চোখে চোখ রেখে তারা একটাই দাবি করেন যে, কবে গ্রেফতার হবে শেখ শাহজাহান? শুধু তাই নয়, এই পুলিশ যেভাবে অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারছে না, তাতে শাড়ি নিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাতেও দেখা যায় সন্দেশখালীর মহিলাদের। পাশাপাশি প্ল্যাকার্ডে “গো ব্যাক” লিখে রাজ্যের মন্ত্রীকে সন্দেশখালি বুঝিয়ে দেয় যে, তারা আর কোনো কিছুর কাছে মাথা নত করতে রাজি নয়। হয়ত তাদের পুলিশ দিয়ে ভয় দেখানো হতে পারে। কিন্তু সেটা কতদিন? তারা যেভাবে রাস্তায় বেরিয়েছে, তাতে আগামী দিন যদি আইনের রাস্তায় এই রাজ্যের প্রশাসন না হাঁটে, যদি সন্দেশখালি সুবিচার না পায়, যদি শেখ শাহজাহান গ্রেফতার না হয়, তাহলে যতই বড় বড় মন্ত্রী আসুক না কেন, প্রতিবাদ শেষ পর্যন্ত নবান্নের দরজায় গিয়ে আছড়ে পড়বে।

অনেকে বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসুকে এই সন্দেশখালিতে পাঠিয়ে ভেবেছিলেন ড্যামেজ কন্ট্রোল করবেন। কিন্তু প্রথম দিনেই একটা ভুল চাল চেলে ফেলেছেন পার্থ ভৌমিক। যে মহিলারা প্রতিবাদ করছিল, তাদেরকে “কেউ বা কারা পাঠিয়েছে” বলে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তিনি। যার ফলে এখানকার মাতৃশক্তি আরও বেশি করে প্রতিবাদের রাস্তায় নামছে। আর তার ফল আজকে হাতেনাতে পেয়ে গেলেন আরেক মন্ত্রী সুজিত বসু। এত বড় বড় নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে এসেও, পুলিশ নিয়ে এসেও জনতার বিক্ষোভকে আটকাতে পারলেন না তারা। তাই এসব দেখে সময় থাকতে থাকতেই শিক্ষা নেওয়া উচিত এই রাজ্যের ফ্যাসিস্ট মুখ্যমন্ত্রীর। তা না হলে এই বিক্ষোভ শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, আর কিভাবে, বলা ভালো কতটা করুন ভাবে যে এই রাজ্যের শাসক দলকে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হবে, তা কেউ জানে না। তবে আজ সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া ঘটনার মতই যেভাবে সন্দেশখালির মহিলারা গর্জে উঠেছে, যেভাবে মন্ত্রীকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে, খেলা ঘুরছে বাংলার রাজনীতিতে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!