এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা পুলিশ অপদার্থ, রাজ্যের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী! বড় দাবি সুকান্তর!

মমতা পুলিশ অপদার্থ, রাজ্যের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী! বড় দাবি সুকান্তর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  অবশেষে একটি ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই আপনারা সকলেই জানেন যে, নির্বাচন ঘোষণা না হলেও আগামী মার্চ মাসের এক তারিখেই বাংলায় পাঠানো হচ্ছে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। অর্থাৎ বাংলায় যে সন্ত্রাস হয়, ভোটের পরে এবং আগে যে পরিমাণ ভয় দেখানোর প্রক্রিয়া চলে, তা বন্ধ করতেই এবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মানুষের মধ্যে যাতে বিশ্বাস ফেরানো যায়, তার জন্যই কমিশনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছে বিরোধীরা। তারা এটাও বলছেন যে, এতদিন ধরে বিরোধীদের তরফে যে কথা বলা হচ্ছিল যে, রাজ্যের প্রশাসন মেরুদণ্ডহীন, এই রাজ্যের প্রশাসনকে শুধুমাত্র তৃণমূলের জন্যই ব্যবহার করা হয়, সেটা স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। আর সেই কারণেই রাজ্য প্রশাসনের ওপর ভরসা না রেখে ভোট ঘোষণার আগে থেকেই রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তায় পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর সেই বিষয় নিয়েই বিজেপির রাজ্য সভাপতি যে কথা বললেন, তার সঙ্গে অনেকেই বলছেন যে, যতদিন না তৃণমূল সরকার যায়, ততদিন রাজ্যের মানুষের কাছে সুবিচার দেওয়ার ক্ষেত্রে এই রাজ্যে এখন থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা উচিত। কিন্তু কি এমন বললেন সুকান্ত মজুমদার, যার পরিপ্রেক্ষিতে এমন কথা বলা হচ্ছে!

প্রসঙ্গত, আগামী 1 মার্চ থেকে রাজ্যে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে পরিমাণ সন্ত্রাস হয়, যেভাবে বহু মা সন্তানহারা হন, তাতে এবার নির্বাচনে যাতে এইরকম কিছু না হয়, তার ব্যবস্থা করা উচিত। সেই জন্য নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ নিয়েছে। 1 মার্চ কেন, যদি প্রয়োজন হয়, আজ থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা উচিত।” আর এই কথার পরেই রাজ্যের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের মধ্যে থেকেও আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। তারা বলছেন যে, সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে, তার পরেও যখন মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হচ্ছে না, তখন এই রাজ্য পুলিশের ওপর আর ভরসা করা উচিত নয়। এরা তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে।

এই রাজ্য পুলিশের নাম এমনি এমনি মমতা পুলিশ দেননি বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। তার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তাই ভোটের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হচ্ছে মার্চ মাসের প্রথম থেকে, সেটা অবশ্যই স্বাগত জানানোর মত বিষয়। কিন্তু রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তা, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখার জন্য এই পুলিশকে অবিলম্বে নিরপেক্ষ হতে হবে। তা না হলে কেন্দ্র পদক্ষেপ নিয়ে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করুক এই রাজ্যে। তা না হলে অত্যাচারী মানুষদের কন্ঠরোধ যেমন করবে এই দলদাস পুলিশ, ঠিক তেমনই তাদের অভাব অভিযোগের নিষ্পত্তি হবে না বলেই দাবি একাংশের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সন্দেশখালি গোটা রাজ্যের মানুষকে দেখিয়ে দিয়েছে যে, কিভাবে সাহস অর্জন করে এই শাসকের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হয়। তাই প্রতিবাদীরা এখন সাহস পাচ্ছেন। কিন্তু অনেক জায়গাতেই তাদের ভয় দেখানোর কাজ করছে দলদাস প্রশাসন। তবে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভোটের বহু আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর ফলে অন্তত রাজ্য পুলিশ আর ভয় দেখাতে পারবে না। মানুষের মনে একটা আস্থা ফিরবে যে, তাদেরকে রক্ষা করার মত কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। তাই তৃণমূলের ঘুম ওড়ার মত সময় কিন্তু চলে এলো। এতদিন আঞ্চলিক ভোটগুলোতে তারা রাজ্য পুলিশকে কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাস করত, শাহজাহান মডেলকে সামনে রেখে ভোট লুট করতে পারত, কিন্তু এবার লোকসভা নির্বাচনের বহু আগেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পা রাখার কারণে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত গণতন্ত্র প্রেমী সাধারণ মানুষ। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!