এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নন্দীগ্রামের পথেই সন্দেশখালি, শাসকের বিদায় নিশ্চিত! শুভেন্দুর পথেই দিলীপ!

নন্দীগ্রামের পথেই সন্দেশখালি, শাসকের বিদায় নিশ্চিত! শুভেন্দুর পথেই দিলীপ!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিগত বাম সরকারের আমলে পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করেছিল নন্দীগ্রাম। আর বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলে সন্দেশখালিতে যে জনজাগরণ শুরু হয়েছে, তাতে মনে করা হচ্ছে যে, সেই নন্দীগ্রামের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে সন্দেশখালিতে। শুভেন্দু অধিকারী বারবার দাবি করছেন যে, এই সন্দেশখালি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ার করবে খালি। রাজ্যে পরিবর্তন নিশ্চিত। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সন্দেশখালির পরিস্থিতি দেখে শাসকের বিদায় আরও বেশি করে নিশ্চিত করে দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি একেবারে বিরোধী দলনেতার সুরে সুর মিলিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, নন্দীগ্রামে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেই একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে সন্দেশখালিতে। আগামী দিনে গোটা রাজ্যজুড়ে এইরকম আরও অনেক বিক্ষোভ তৈরি হবে। আর তারপরেই বিদায় নেবে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিক ভাবেই একের পর এক হেভিওয়েট থেকে শুরু করে বিরোধী নেতাদের মুখে এই রকম কথা শোনার পরেও শাসক দল শিক্ষা নেবে, নাকি এই ভাবেই তারা দমন পীড়নের পথেই পা বাড়াবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

প্রসঙ্গত, এদিন এই সন্দেশখালির বিষয় নিয়ে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “সন্দেশখালিতে যেভাবে মানুষের বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তাতে এখন পুলিশ অফিসাররা সেখানে যাচ্ছেন। বলছেন, আট দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এতদিন কোথায় ছিলেন আপনারা? আজকে মানুষের মধ্যে যে বিক্ষোভ হচ্ছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, নন্দীগ্রামে যে গেম চেঞ্জার হয়েছিল, সেটা সন্দেশখালিতে হচ্ছে। আগামী দিনে গোটা রাজ্যের অনেক জায়গাতেই এইরকম পরিস্থিতি তৈরি হবে।”

অনেকে বলছেন, নন্দীগ্রামে বিগত বাম আমলে পুলিশের ভয় থাকা সত্ত্বেও মানুষ কিন্তু ভয় পায়নি। তারা গর্জে উঠেছিল বলেই রাজ্যে একটা পরিবর্তন হয়েছিল। ক্ষমতায় বসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই আন্দোলন দেখার পরেও এই রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা নিচ্ছেন না। সন্দেশখালিতে মানুষের জনজাগরণ হওয়ার পরেও তাদের পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, বরঞ্চ মূল অভিযুক্তের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি প্রমাণ করে দিচ্ছেন যে, শাসকের আইন এই রাজ্যে চলবে। আর এটাই এই তৃণমূল সরকার ধ্বংসের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যে কথা শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, সে কথা আজকে দিলীপ ঘোষের মুখ থেকে শোনা গেল। আগামী দিনে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যারা অত্যাচারিত, তাদের বিক্ষোভ এই সন্দেশখালি থেকে দ্বিগুণ পরিমানে হবে। আর সেটাতেই তৃণমূল সরকারের বিদায় আরও বেশি করে নিশ্চিত হয়ে যাবে বলেই দাবি একাংশের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ক্ষমতায় বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন, তিনি যা বলবেন, সেটাই যেন ঠিক। তিনি এক ফোঁটাও ভাবতে পারেননি যে, তার আমলে বিগত বাম সরকারের মতো নন্দীগ্রামের কায়দায় এই আন্দোলন হবে। কিন্তু মানুষের বিক্ষোভ চিরকাল ধামাচাপা দেওয়া যায় না। কিছুদিন পুলিশের ভয় থাকে। তবে মানুষ যখন গর্জে ওঠে, তখন পুলিশ তাকে আর সামলাতে পারে না। আর সেটাই সন্দেশখালিতে হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের যে সমস্ত প্রান্তে অত্যাচারী মানুষগুলো এতদিন পুলিশের জন্য ভয় পেয়ে চুপ করেছিলেন, তারাও কিন্তু সন্দেশখালির জনজাগরণ দেখে সাহস পেতে শুরু করেছেন। আর এই সাহস আগামী দিনে ভোট বাক্সে গিয়ে আছড়ে পড়বে। আর তার ফলেই গ্যাস বেলুনের হাওয়া চুপসে যাবে তৃণমূল কংগ্রেসের। এক কথায় নন্দীগ্রাম যেমন তৃণমূলকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিল, ঠিক তেমনই সন্দেশখালি এই রাজ্য থেকে বিদায় জানাবে সেই তৃণমূলকে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!