এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার মন্ত্রীর কতই রঙ্গ, শেষমেষ সন্দেশখালিতে কীর্তন! কটাক্ষ বিজেপির!

মমতার মন্ত্রীর কতই রঙ্গ, শেষমেষ সন্দেশখালিতে কীর্তন! কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এতকিছুর পরেও এরা শিরদাঁড়া নিয়ে, মেরুদন্ড নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছে কি করে? এত পাপ করার পরেও এখন কি সাধু হওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের মন্ত্রীরা! সন্দেশখালিতে যে পরিমাণ অত্যাচার হয়েছে, যেভাবে মহিলারা প্রশ্ন করেছেন, তাতে তো গতকালই এই রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলে ফেলেছিলেন, সেই মহিলাকে কেউ বা কারা নাকি পাঠিয়ে দিয়েছে। আর তারপর মহিলাদের যে বিক্ষোভ হয়েছিল, তাতে শেষ পর্যন্ত আলোচনা সভা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন দুই মন্ত্রী। কিন্তু আজ আবার সেই সন্দেশখালিতে সাত সকালে একটি নাটক মঞ্চস্থ করতে দেখা গেল রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। কি ভাবছেন পার্থবাবু! এসব করে মানুষের মন জয় করবেন? কিন্তু যতদিন না শেখ শাহাজাহান গ্রেফতার হচ্ছে, ততদিন হাজার চেষ্টা করুন, এসবে অন্তত মানুষের মন গলবে না। তবে সকাল সকাল কি এমন করলেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী?

প্রসঙ্গত, আজ সন্দেশখালিতে সাত সকালে একটি কীর্তনের আসরে পৌঁছে যান রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। আর সেখানেই খোল বাজাতে বাজাতে চোখ বন্ধ করে, কখনও দু হাত তুলে হরিনাম সংকীর্তন করতে দেখা যায় তাকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাৎ এত ভক্তি কেন! যে সমস্ত পাপ করেছেন, যেভাবে গতকাল মহিলাদের অপমান করেছেন, তাতে কি সেই পাপ কাটানোর জন্যই এখন হরিনাম সংকীর্তন! নাকি মানুষের মন পাওয়ার জন্য ঈশ্বর ভক্তি দেখানোর চেষ্টা? অনেকে বলছেন, এসব আর কিছু নয়। সন্দেশখালি যেভাবে অত্যাচারিত, যেভাবে গোটা রাজ্যে এই সন্দেশখালি মডেল হয়ে উঠেছে, তাতে ভয় পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এখন খবরে টিকে থাকতে, বিভিন্ন ছোটখাটো কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে অনুপ্রাণিত মিডিয়ারা যাতে সেটাই সারাদিন দেখাতে থাকে, সন্দেশখালি ইস্যু যাতে কিছুটা হলেও ধামাচাপা পড়ে যায়, সেই চেষ্টা করতেই এই সমস্ত নাটক করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, কথায় আছে অতিভক্তি চোরের লক্ষণ। পার্থ ভৌমিক এবং তৃণমূল নেতাদের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। মানুষকে ভয় পাচ্ছেন তারা। শেখ শাহজাহান রাজ্য পুলিশের আশ্রয়ে রয়েছে। আর সেটা সাধারণ মানুষ ধরে ফেলেছে বলেই এখন হরিনাম সংকীর্তন করে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করছেন কিন্তু এসবের লাভের লাভ কিছু হবে না। মানুষ জেগে উঠেছে। তৃণমূলের এই নাটুকে কার্যকলাপে কেউ বিশ্বাস করে না। যতক্ষণ না মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হচ্ছে, ততক্ষণ এই সমস্ত কীর্তন করে লাভ হবে না।দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!