এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > করিমপুরের সংখ্যালঘু ভোটে কি বাম প্রার্থীর থাবা? আশা আর আশঙ্কার অঙ্ক বিজেপি-তৃণমূল শিবিরে

করিমপুরের সংখ্যালঘু ভোটে কি বাম প্রার্থীর থাবা? আশা আর আশঙ্কার অঙ্ক বিজেপি-তৃণমূল শিবিরে


ভারতবর্ষে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সর্ব ধর্মের বাস। আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত ভারতবর্ষের সমস্ত ভাষাভাষীর মানুষ থাকায় ভোট রাজনীতি যেন কিছুটা সহজ হয়ে গিয়েছে রাজনীতিবিদদের কাছে। অনেক ক্ষেত্রেই ভাষা এবং বর্ণের ভিত্তিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের বৈতরণী পার হন নানা দলের প্রার্থীরা। আর এবারে আগামী 25 নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের সংখ্যালঘু ভোটকে ফ্যাক্টর হিসেবে ধরে নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দল।

সূত্রের খবর, এই করিমপুর বিধানসভায় প্রায় 47 শতাংশ সংখ্যালঘু মানুষের ভোটব্যাংক রয়েছে। ফলে এই শক্ত ভোটব্যাঙ্ক এখন কাদের দখলে যাবে, তা নিয়েই চলছে জোর চর্চা। এবারে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী করা হয়েছে বিমলেন্দু সিংহ রায়কে। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তবে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী গোলাম রাব্বি সংখ্যালঘু মুখ হওয়ায় তিনি অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন বলে আশাবাদী বামেরা। তবে সংখ্যালঘু মুখ বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীকে ময়দান ছেড়ে দিতে রাজি নয় তৃণমূল এবং বিজেপি।

ইতিমধ্যেই এনআরসিকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে করিমপুর বিধানসভার সংখ্যালঘু প্রবণ এলাকাগুলিতে জোর প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি বিজেপিকে “সাম্প্রদায়িক দল” বলেও আখ্যা দিতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। তবে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে টেক্কা দেবে, আর তাতে ছেড়ে দেবে বিজেপি? এটা কি হয়! আর তাইতো এই কেন্দ্রের সংখ্যালঘু এলাকাগুলিতে ভালো বক্তা এবং সংখ্যালঘু হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীদের মুখ করে নিয়ে এসে পাল্টা প্রচার চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি আলী হোসেন থেকে শুরু করে বিজেপি নেত্রী মাফুজা খাতুন, সকলেই এই সংখ্যালঘু এলাকায় বিজেপির প্রচার চালাচ্ছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, করিমপুরে হিন্দু ভোট যতটা না ফ্যাক্টর, তার থেকে বেশি ফ্যাক্টর সংখ্যালঘু ভোট। লোকসভা নির্বাচনে হিন্দু প্রবণ এলাকাগুলিতে উত্থান ঘটেছে বিজেপির। আর তাই বিজেপি এখন চেষ্টা করছে, সংখ্যালঘু এলাকায় দাঁত ফোটাবার। তাই সে দিক থেকে করিমপুর এই ভোটকে ফ্যাক্টর করছে গেরুয়া শিবির কিন্তু বাম প্রার্থী যেখানে সংখ্যালঘু মুখ, সেখানে কি তাদের এই ভোট দখল সম্ভব হবে!

এদিন এই প্রসঙ্গে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি মহাদেব সরকার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “47% কিনা জানি না। তবে আমাদের রেকর্ড অনুযায়ী করিমপুরের ভোটারদের মধ্যে 32% হল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এই সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। সংখ্যালঘু মানুষের কাছে আমরা যাচ্ছি। আমাদের সংখ্যালঘু নেতা নেত্রীরা সেখানে পড়ে আছেন। এই সরকার তাদের জন্য আদতে কি করেছে, তা আমরা ওদের থেকেই জানতে চাইছি। সবাই অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। সংখ্যালঘু মানুষজন আমাদের পাশেই আছে। এটা আমরা ভালোই বুঝতে পারছি।” পাল্টা সংখ্যালঘুদের সমর্থন নিজেদের দখলে আনতে আশাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে করিমপুরের তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায় বলেন, “সংখ্যালঘু ভোট একটা ফ্যাক্টর। এটা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই। সেই মতো আমাদের প্রচার চলছে। মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘু মানুষদের জন্য সব রকম কাজ করছেন। তাঁরা যাতে কোনোভাবে প্রভাবিত না হন, তার জন্য এনআরসি বিরোধিতা করছেন।” তবে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই প্রধান শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক দল করিমপুরের সংখ্যালঘু ভোট পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হলেও শেষ পর্যন্ত ফাঁকতালে সংখ্যালঘু বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী দাও মারতে পারে কিনা, এখন সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!