প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। সম্প্রতি দেশের মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৫৮ লক্ষ্যের গণ্ডি অতিক্রম করেছে। করোনায় মৃত্যু ঘটেছে ৯২ হাজারেরও বেশি মানুষের। দৈনিক সুস্থতার পরিমান পূর্বের তুলনায় অনেকটা বৃদ্ধি পেলেও, কিছুতেই লাগাম পরানো যাচ্ছে না করোনার সংক্রমণে। করোনার হাত থেকে সাধারণ মানুষ যেমন রেহাই পাচ্ছেন না, তেমনি করোনার জালে জড়িয়ে পড়েছেন দেশের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী প্রমূখরাও।

সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত ও করোনা মুক্ত হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার করোনা সংক্রমণ লক্ষ্য করা গেল রাজ্যসভায়। সম্প্রতি রাজ্যসভার ৮৩ জন উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক করোনা আক্রান্ত হলেন। রাজ্যসভার ৮৩ জন উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকের করোনা আক্রান্ত হবার সংবাদ জানালেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু।

সংসদে বাদল অধিবেশন চলাকালীন ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণ ঘটতে দেখা গেছে। এবারের বাদল অধিবেশন আগামী ১ লা অক্টোবর পর্যন্ত টানার কথা থাকলেও, একাধিক সাংসদ, মন্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ায় দ্রুত অধিবেশন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত বুধবার বাদল অধিবেশন সমাপ্ত করে দেয়া হয়েছে। তবে অধিবেশন কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হলেও, রোধ করা গেল না করোনার সংক্রমণকে।

সচিবালয়ের যে ৮৩ জন কর্মকর্তার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে সুচারু বন্দোবস্তের জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিলেন উপরাষ্ট্রপতি অন্যান্য আধিকারিকদের। আবার দিল্লিতে করোনার সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়ছে। সম্প্রতি, দিল্লি করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করেছে বলে মনে করছেন বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্যেরা। গতকাল এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে মেনে নিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।