প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীব সিনহার নামে সবুজ সংকেত দেওয়ার পরেই রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে বর্তমানে যখন বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়ন পর্বকে কেন্দ্র করে হিংসার ঘটনা ঘটছে, তখন তাকে আটকাতে রাজভবনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যাকে স্বাগত জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু এই হিংসা আটকাতে যদি প্রথম থেকে পদক্ষেপ নিতেন রাজ্যপাল এবং তিনি যদি রাজীব সিনহার নামে সবুজ সংকেত না দিতেন, তাহলে এই দিন দেখতে হত না বলে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বুঝিয়ে দিলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীব সিনহার নামে সবুজ সংকেত দিয়ে ঠিক করেননি রাজ্যপাল।

প্রসঙ্গত, এদিন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে হিংসা ঠেকাতে রাজভবনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “রাজ্যপাল এখন যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেটা অত্যন্ত মানবিক। কিন্তু আমি তো এটা অস্বীকার করতে পারব না যে, তিনি রাজীব সিনহার নামে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। তিনি যদি একটু দেখে এই পদক্ষেপ নিতেন এবং নিজের সমস্ত ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে পদক্ষেপ নিতেন, তাহলে আজকে এই ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটত না। এমনকি আজকে রাজ্যপালের ডাককেও উপেক্ষা করেছেন এই নির্বাচন কমিশনার। সুতরাং রাজ্যপাল কাকে নির্বাচন কমিশনার করেছেন, সেটা উনিই এখন বুঝতে পারবেন।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সরাসরি রাজ্যপালকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। স্পষ্ট ভাষায় তিনি অভিযোগ করলেন, যদি প্রথম থেকেই নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীব সিনহাকে দায়িত্ব দেওয়ার আগে খোঁজখবর নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন রাজ্যপাল, তাহলে আজকে বাংলায় এই ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটত না। আর রাজ্যপালকে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য যে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।