গুজরাট থেকেই বিজেপির শেষের শুরু, ২০১৯ হেরে যাবে, দাবি অরূপ বিশ্বাসের জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য December 22, 2017 ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে যেখানে বিজেপি চাইছে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নিজেদেরকে বঙ্গে প্রতিষ্ঠিত করতে সেখানে মঙ্গলবার রায়না-১ ব্লকের সাহারাবাজার এবং গলসী-১ ব্লকের বুদবুদে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতরাজ সম্মেলনে যোগ দিয়ে দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা দুই বর্ধমানের দলের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সি প্লেনে প্রচার করেও বিজেপির প্রাপ্ত আসনের নিরিখে তিন অঙ্ক ছুঁতে ব্যর্থ হয়েছে, অথচ,অমিত শাহ ১৫০টি সিট দখলের ঘোষণা করেছিলেন। ২০১২ সালে ওরা গুজরাতে ১১৫টি আসনে জিতেছিল, আর ২০১৪ সালে লোকসভার নিরিখে সেখানে ১৬৫ আসনে লিড ছিল। তা সত্ত্বেও ৯৯ এই আটকে গেল বিজেপি। আসলে গুজরাত থেকেই বিজেপির অবক্ষয় শুরু হল। ২০১৯সালে লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হারিয়ে ভেদাভেদ ও মেরুকরণের রাজনীতির অবসান ঘটাতে হবে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে পূর্ব বর্ধমান জেলায় মহকুমাভিত্তিক পঞ্চায়েতীরাজ সম্মেলন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সকালে বর্ধমান দক্ষিণ মহকুমার অন্তর্গত রায়না-১ ও ২, মেমারি-১ ও ২, খণ্ডঘোষ এবং জামালপুর ব্লকের দলের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে সম্মেলন হয় সেহারাবাজার ফুটবল ময়দানে। এরপর বিকালে বর্ধমান উত্তর মহকুমা এলাকার সবকটি ব্লকের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে পঞ্চায়েতীরাজ সম্মেলন হয় বুদবুদে। দুটি জায়গায় অরূপবাবু বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান। তিনি বলেন, কয়েক মাস পর পঞ্চায়েত নির্বাচন। আমরা উন্নয়নকে সামনে রেখে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাব। অপরদিকে আরেকটি দল হিন্দু-মুসলমানের ভেদাভেদকে সামনে রেখে ভোট চাইতে যাবে। গুজরাতের বিজেপির আসন সংখ্যা কমে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ওখানে প্রচারের জন্য ৪৫ বার গেলেন। সি প্লেনেও প্রচার সারলেন। কিন্তু, বিজেপি নিজেদের ভাঙন আটকাতে পারল না। তিনি আরও বলেন, বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম তিনদলই আসলে এক। তাই তিনদলের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হবে। সিপিএম এখন কোমায় চলে গিয়েছে। বিজেপি মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব আর ভাগাভাগি ছাড়া কিছু জানে না। বিজেপি আসলে ভাষণবাজের ও মিথ্যাবাদীর দল। এদিন ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যদের সতর্ক করে তিনি বলেন, যদি কেউ সবুজ সাথী, খাদ্য সাথী, কন্যাশ্রী প্রকল্পে সুবিধা পাচ্ছেন না বলে জানান তাহলে রেয়াত করা হবে না। নিজ নিজ এলাকার মানুষজন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তা দেখা দলীয় কর্মীদের কাজ। এই কাজটা ঠিকমতো করতে পারলে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর জয়টা সময়ের অপেক্ষা ছাড়া কিছু নয়। এদিনের সম্মেলনে অরূপবাবু আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিটি ব্লকে সম্মেলন করার নির্দেশ দেন। তার আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ স্থাপন করতে হবে বলে জানান। সেই রিপোর্ট সংগ্রহ করার পর ব্লকে ব্লকে সম্মেলন করার নির্দেশ দেন। এদিন দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ বৃদ্ধির উপর জোর দিতে হবে। এই কাজে নজরদারি চালানোর পর বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। এদিনের সম্মেলনে দুই মন্ত্রী ছাড়াও জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু, বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার সদস্য মমতাজ সংঘমিতা, বর্ধমান পূর্ব লোকসভার সদস্য সুনীল মণ্ডল, বিষ্ণুপুর লোকসভার সদস্য সৌমিত্র খাঁ, বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, নার্গিস বেগম, সুভাষ মণ্ডল, নেপাল ঘড়ুই, নবীন বাগ, নিশীথ মালিক, বিশ্বজিৎ কুণ্ডু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আপনার মতামত জানান -