এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জনতার বিক্ষোভে অজিত, দায়ী করলেন তৃণমূলকেই! মমতার গলার কাঁটা সন্দেশখালি!

জনতার বিক্ষোভে অজিত, দায়ী করলেন তৃণমূলকেই! মমতার গলার কাঁটা সন্দেশখালি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কথায় আছে, আপনি বাঁচলে বাপের নাম। হয়ত সেই কাজটাই এখন করার চেষ্টা করছেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতারা। অজিত মাইতি আজ জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ার পর যে কথা বললেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, তৃণমূলকে আর কেউ পাত্তা দিচ্ছে না। এখন নিজেকে বাঁচাতে পারলেই সবাই সুরক্ষিত মনে করছেন। জমি দখলের যে অভিযোগ এই অজিত মাইতির বিরুদ্ধে উঠেছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে আবার যেভাবে মহিলাদের তাড়া খেয়ে তিনি এক জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট যে, তৃণমূল এখানে কি পরিমান অত্যাচার করেছে! অজিত মাইতির বক্তব্যের পর যে মারাত্মক অভিযোগ এই সন্দেশখালি তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে উঠে এলো, তাতে প্রমানিত যে, এই রাজ্যের শাসকদলের গলার কাঁটা হয়ে যাচ্ছে সন্দেশখালি। কিন্তু কি এমন বললেন তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি?

প্রসঙ্গত, আজ জনতার তারা খেয়ে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বাড়িতে আশ্রয় নেন তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি। আর তারপরেই তিনি সাংবাদিকদের কাছে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। এই তৃণমূল নেতার দাবি যে, 2019 সাল পর্যন্ত তিনি বিজেপি করতেন। কিন্তু 2019 সালে পর তাকে ভয় দেখিয়ে এই এলাকার তৃণমূল নেতারা মারধর করে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করিয়েছে। অর্থাৎ তৃণমূলে থাকা এক নেতা, যার বিরুদ্ধে জনতার বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে, সেই নেতাই এবার স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে যে, তাকে নাকি একসময় ভয় দেখিয়ে মারধর করে তৃণমূলের যোগদান করানো হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন প্রশ্ন উঠছে যে, এ কোনো রাজ্যে বাস করছি আমরা! যেখানে তৃণমূল নেতারাই অভিযোগ করছেন যে, তাদের এই তৃণমূলের পক্ষ থেকে ভয় দেখানো হয়েছে। যদি সত্যি হয় অজিত মাইতির এই বক্তব্য, তাহলে যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তারাও কিন্তু এবার চাপের মুখে পড়তে চলেছেন। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে আবার বলছেন, অজিত মাইতি যে কথা বললেন, এটা আবার তৃণমূলের স্ক্রিপ্টেড পরিকল্পনা নয়তো? কেননা এই অজিত মাইতির বিরুদ্ধে এখন জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে। তাহলে কি তাকে দিয়ে তিনি একসময় বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এটা বলিয়ে বিজেপিও এই সমস্ত ব্যক্তিকে নিয়ে রাজনীতি করে, অপরাধকে প্রশ্রয় দেয়, এটা বোঝানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস? যদি অজিত মাইতির এই বক্তব্য মিথ্যা হয়, তাহলেও তিনি আর যাই হোক, জনতার রোষ থেকে মুক্তি পাবেন না। কারণ এখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে রয়েছেন। আগে যদি তিনি আগে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত থাকতেনও, তাহলেও কিছু যায় আসে না। মানুষ সব দেখছে। তারা দেখছে যে, এই অজিত মাইতির মতো নেতারা দল বদল করার পর কিভাবে ফুলেফেঁপে উঠেছেন। তাই আগে “বিজেপির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তৃণমূল কংগ্রেস ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে এনেছে” বলে যদি নিজের দোষটাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন অজিত মাইতির মত ব্যক্তিরা, তাহলে আর যাই হোক, বিজেপি তাকে আশ্রয় দেবে না। ভুল হোক বা ঠিক, অজিত মাইতি যে কথা বলেছেন, তাতে দুই দিক থেকেই চাপের মুখে পড়তে হবে এই রাজ্যের শাসক দলকে। মোটের ওপর তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির আজকের বক্তব্যের পর নতুন করে উভয় সংকটে পড়ে গেল এই রাজ্যের শাসক দল এবং তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!