এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শাহজাহানের জন্য উপকৃত ভাইপো? সন্দেশখালি কান্ডে আরও ভয়ংকর তথ্য ফাঁস !

শাহজাহানের জন্য উপকৃত ভাইপো? সন্দেশখালি কান্ডে আরও ভয়ংকর তথ্য ফাঁস !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রায় 50 দিন পেরিয়ে গেল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত শেখ শাহাজাহানকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলো না। কি করছে রাজ্য পুলিশ! ইচ্ছাকৃতভাবে ধরছে না, নাকি সত্যিই হাতের সামনে নেই শেখ শাহজাহান, সেই কারণে ধরতে পারছে না। একটা ছোট বাচ্চাও এটা খুব ভালো কত জানে যে, এই রাজ্য পুলিশ যদি চায়, তাহলে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সেই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু সেটা তারা করবে না। তাহলে শেখ শাহজাহানের কাছে এমন কিছু গোপন তথ্য রয়েছে, যা তাকে গ্রেপ্তার করলে ফাঁস হয়ে যেতে পারে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাকে জেরা করলে ফেসে যেতে পারেন আরও বড় কোনো ব্যক্তি। সেই কারণেই তাকে হয়তো ধরা হচ্ছে না। এতদিন ধরে এই সমস্ত কথা বিভিন্ন মহলের তরফে শোনা গিয়েছিল। এমনকি বিরোধীদের তরফেও এই সমস্ত কথা বলা হয়েছিল। আর এবার একেবারে গোটা ঘটনার সঙ্গে ভাইপোকে জড়িয়ে ভয়ংকর তথ্য ফাঁস করলেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু কি এমন বললেন তিনি? এতদিন তো শুভেন্দুবাবু বলেছেন যে, এই রাজ্যে পুলিশ শেখ শাহজাহানকে ধরবে না। তারা ইচ্ছা করলেই ধরতে পারে। কিন্তু সবটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামত হচ্ছে। সেই কারণে ধরা হবে না। আর এবার সেই ঘটনায় স্বনামধন্য যুবরাজ তথা ভাইপোকে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কথায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

প্রসঙ্গত, পুলিশের চোখে চোখ রেখে যেভাবে সন্দেশখালি মহিলারা বিক্ষোভ করছেন, তারপরেও কেন শেখ শাহজাহানকে ধরা হচ্ছে না! এদিন সেই প্রশ্ন করা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “শেখ শাহজাহানকে এই মমতা পুলিশ ধরবে না। কারণ শাহজাহান ওখানে লুট করত। আর সেই লুটের মাল এসে পৌঁছত কলকাতায় ভাইপোর কাছে।” আর এখানেই প্রশ্ন, এই ভাইপো বলতে কি তৃণমূলের যুবরাজের দিকেই ইঙ্গিত করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা! তাহলে কি দুইয়ে দুইয়ে চার হচ্ছে! সত্যিই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার পুলিশের মনে ভয় রয়েছে যে, শেখ শাহাজাহান গ্রেপ্তার হলে তিনি নিজে বাঁচার জন্য অনেক বড় কোনো নাম বলে দিতে পারেন! তাই তাকেও রক্ষা করে, তাকে না ধরে ভাইপোকে বাঁচানোর জন্যই কি রাজ্য পুলিশের এই সমস্ত টালবাহানা? যদি এটা সত্যি হয়, তাহলে বেশিদিন এইভাবে লুকিয়ে থাকতে পারবেন না শাহজাহান। বেশিদিন তাকে আড়ালে রাখতে পারবেন না স্বনামধন্য ভাইপো। যেভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, তাতে কলার ধরে কি করে এই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হয়, সেটা দেখিয়ে দেবে ইডি বলেই দাবি একাংশের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ভাইপো শিবিরের নেতা হিসেবেই পরিচিত এই শেখ শাহজাহান। ভাইপোর আশীর্বাদের হাত তার মাথায় ছিল বলেই তিনি নাকি ধরাকে সরা জ্ঞান করতেন। এলাকার মানুষ তেমনটাই বলছেন। এতদিন অনেকে মুখ খুলতে ভয় পেতেন। কিন্তু এবার তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা সেই সন্দেশখালিতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছেন যে, মানুষের রাগ কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ যদি এই শেখ শাহাজাহানকে না ধরে, তারা যদি এভাবেই তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে তারা ভুল করবেন। কারণ মানুষের বিক্ষোভ এবার তৈরি হবে প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

আর তখন কিন্তু আইন ভাঙ্গার কাজ সাধারণ মানুষ শুরু করলে এই প্রশাসনের বলার কিছু থাকবে না তাই নিজেদের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে কোনো ভাইপোকে রক্ষা করার জন্য শাহজাহানকে আড়ালে রাখা উচিত নয় রাজ্য পুলিশের। কিন্তু এই রাজ্যের প্রশাসন দলদাসের মত আচরণ করবে, সেটাই স্বাভাবিক। তাই ভাইপো যদি ভেবে নেন যে, শাহজাহান গ্রেফতার হচ্ছে না, আর তিনি এভাবেই ঘুরে বেড়াবেন, তাহলে সেই দিন শেষ হয়ে যাওয়ার মুখে। আদালত যদি নির্দেশ দেয়, তাহলে কি করে এই শেখ শাহজাহানকে ধরে এনে তার কাছ থেকে তথ্য বের করে আরও বড় কোনো মাথাকে ধরতে হয়, তা খুব ভালো মতই করে দেখাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর সেদিন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারবেন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!