“এ কোন বাংলা” বিমানের সহ যাত্রীর কথা শুনে লজ্জিত শুভেন্দুও ! কবে ঘুম ভাঙবে মমতার ? তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য February 25, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আর হয়ত বিবেকবোধ জাগ্রত হবে না। যদি বিবেক বলে কিছু থাকত, তাহলে এতদিন সন্দেশখালির ঘটনায় তিনি কোনো একটা কড়া স্টেপ নিতেন। কোনোভাবেই তাকে এড়িয়ে যেতেন না বা অভিযুক্তদের পক্ষে কথা বলার চেষ্টা করতেন না। কিন্তু শুধু বাংলা নয়, আজকে যারা প্রবাসী বাঙালি, যারা অন্য রাজ্যে থাকেন বা অন্য দেশে থাকেন, তারাও কিন্তু এই বাংলার একের পর এক ঘটনা দেখে ভীষণভাবে লজ্জিত। সম্প্রতি দিল্লি গিয়েছিলেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ তিনি দিল্লি থেকে বাংলায় ফিরেছেন। আর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বিমানের এক সহযাত্রীর মুখ থেকে যে সমস্ত কথা শুনেছেন, তাতে যে তিনিও লজ্জিত, সেই কথা সকলের সামনে তুলে ধরেছেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বাংলার একজন নাগরিক এখন অন্য জায়গায় থাকলেও, এই বাংলা নিয়ে তিনি কোন তিক্ততা মনের মধ্যে রেখেছেন, সেটা শুনে শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, সত্যিই আজকে এই তৃণমূল সরকার যে পরিস্থিতি বাংলার করেছে, তা দেখে সকলের লজ্জা লাগছে। প্রসঙ্গত, আজ কলকাতায় একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাত সকালে দিল্লি থেকে নেমেই তিনি কলকাতায় এই কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছেন। আর সেখানেই এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, তিনি যখন দিল্লী থেকে বিমানে করে কলকাতায় আসছিলেন, সেই সময় সেই বিমানের একজন সহযাত্রী, যিনি এখন গুরগাঁওয়ে থাকেন। কিন্তু দুর্গাপুরে তার বাড়ি। সেই মানুষটি বারবার শুধু বলেই চলেছিলেন যে, এ কোন বাংলা দেখছি! এই বাংলা কি স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রানী রাসমনির বাংলা! এ কোন বাংলা! এ কোন বাংলা! এমনটাই সেই ভদ্রলোক কানের কাছে বলেই চলেছেন। অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী এই কথা বলে একটা বিষয় বোঝাতে চাইলেন যে, এই বাংলা নিয়ে বাইরের রাজ্যের মানুষ বা বাইরের দেশের মানুষরাও কিন্তু অত্যন্ত ব্যথিত্ তারা কষ্ট পাচ্ছেন যে, যে বাংলা গোটা দেশকে একসময় পথ দেখাত, আজকে সেই বাংলাকে কোন জায়গায় নিয়ে গিয়েছে এই সরকার! শুভেন্দু অধিকারীও এই বাংলার মানুষ। তাই বিমানে আসতে আসতে আর একজন মানুষের কাছ থেকে এই বাংলা নিয়ে তিনি এই রকম কথা শুনে নিজেও ব্যথিত। স্বাভাবিক ভাবেই যতটা দ্রুত সম্ভব, তৃণমূল সরকারের হাত থেকে বাংলাকে মুক্তি না দিলে যে বাইরের রাজ্যে গিয়ে নিজের রাজ্য সম্পর্কে এইরকম অনেক খারাপ খারাপ কথা হজম করতে হবে বাঙালিকে, তা এখন থেকেই বোঝা উচিত পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র প্রেমী সাধারণ মানুষদের। পর্যবেক্ষকদের মতে সকলেই চাইছেন এই তৃণমূল সরকার রাজ্য থেকে বিদায় নিয়ে কিন্তু এরা এতটাই বিপদজনক যে, গণতন্ত্রকে পর্যন্ত সম্মান দেয় না। একের পর এক অপকৃতি যেমন করে, মানুষকে যন্ত্রণার মধ্যে রাখে, ঠিক তেমনই প্রত্যেকটি ভোটে ভোট লুট করে এই তৃণমূল কংগ্রেস। তেমনটাই অভিযোগ তাদের সম্পর্কে। আর সেই কারণেই এই রাজ্য থেকে এতদিন তাদের উৎখাত করা সম্ভব হয়নি। তবে যে লোকসভা নির্বাচন আসছে, সেখানে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী আগে থেকেই মোতায়েন করা হচ্ছে। তাই বাংলার মানুষেরাও এখন তৈরি আছে। বাইরের রাজ্যের মানুষের কাছে বা প্রবাসী বাঙ্গালীদের কাছে নিজের রাজ্য সম্পর্কে খারাপ কথা শুনতে সকলেরই গায়ে লাগছে। সেই কারণেই সংস্কৃতির বাংলাকে তার নিজের জায়গায় পৌঁছে দিতে এবং হৃতগৌরব পুনরুদ্ধার করতে দায়িত্ব নিতে হবে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবাদী রাষ্ট্রপ্রেমী জনসাধারণকে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর কথা শুনে বাংলার মানুষের জেদ যেন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এবার তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে, এই বাংলা থেকে তৃণমূলকে সরাতেই হবে। তা না হলে বাংলা সম্পর্কে যেমন অন্য রাজ্যের কাছে বা বিদেশের কাছে খারাপ কথা শুনতে হবে, ঠিক তেমনই এই তৃণমূলের মত ফ্যাসিস্ট শাসক আরও বেশি করে তাদের অপকৃতি চালাতে থাকবে। তাই রাজনৈতিকভাবে ব্যালট বক্সে গণতন্ত্রকে সম্মান জানিয়ে বিদায় দিতে হবে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -