এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার চেষ্টা বিগ জিরো, মন্ত্রীরা ফিরতেই সন্দেশখালিতে পোস্টার! আরও চাপে তৃণমূল!

মমতার চেষ্টা বিগ জিরো, মন্ত্রীরা ফিরতেই সন্দেশখালিতে পোস্টার! আরও চাপে তৃণমূল!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সন্দেশখালিতে এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও, এই রাজ্যের শাসক দলের লজ্জা হচ্ছে না। সবাই মূল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছেন। এমনকি যে দুজন মন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠিয়েছিলেন ড্যামেজ কন্ট্রোল করার জন্য, তাদের সামনেও মহিলারা একটাই দাবি জানিয়েছেন যে, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হোক। কি পরিমান অত্যাচার তাদের ওপর হয়েছে, তারা সেটা বলতে শুরু করেছেন। তবে দুজন মন্ত্রীকে পাঠিয়েও, হাজার পুলিশকে দিয়ে চোখ রাঙিয়েও লাভের লাভ কিছু হলো না। বরঞ্চ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু ফিরে আসতেই ফের সন্দেশখালিতে ঘটে গেল বড় ঘটনা। যার ফলে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে, সাধারণ মানুষ আর কোনো কিছুতেই ভয় পাচ্ছেন না। মন্ত্রীরা এসেছিলেন সবকিছু ম্যানেজ করার জন্য। কিন্তু তারপরেও যেভাবে সন্দেশখালির আরও একটা খবর সামনে এলো, তাতে স্পষ্ট যে, মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ মানুষের এই প্রতিবাদ থামবে না। কারণ তারা এতদিন ধরে যে অত্যাচারের সাক্ষী থেকেছেন, তাতে আর তারা এই যন্ত্রণা নিতে পারছেন না। তাই এখন শাসকের অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছে সন্দেশখালি। কিন্তু এদিন আবার কি হলো এই এলাকায়?

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির মানুষের মন জয় করার জন্য তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে দুই মন্ত্রী এসেছিলেন। কিন্তু তাদের কাউকে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়, আবার কারওর চোখে চোখ রেখে সেখানকার মহিলারা প্রশ্ন করেন যে, কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না শেখ শাহজাহানকে! যার ফলে এই সন্দেশখালিতে এসেও তেমন কিছু লাভ করতে পারেননি মমতার মন্ত্রীরা। জনতার বিক্ষোভে তারা রীতিমত বরফ গলবে না বুঝতে পেরে এখন কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। আর তারপরেই সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় আবার একটি পোস্টার পড়তে দেখা যায়। যেখানে লেখা রয়েছে, মাফিয়া শেখ শাহজাহানের অবিলম্বে গ্রেপ্তারি চাই।

তবে কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছে, তা জানা না গেলেও, এটা স্পষ্ট যে, মানুষের যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশেই এই সমস্ত কিছু হচ্ছে। মন্ত্রীরা ভেবেছিলেন যে, তারা এসে সবকিছু ম্যানেজ করে নিয়েছেন। আর এখানে কোনো বিক্ষোভ হবে না। কিন্তু সেই সমস্ত চেষ্টা যে বিগ জিরো, সেটা অন্তত এই পোস্টার সামনে আসার পরেই হাড়ে হাড়ে টের পেলেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। যতই তিনি বড় বড় নেতা মন্ত্রী পাঠান না কেন, এই সন্দেশখালির মানুষের যে বিক্ষোভ, তাকে কোনোমতেই আটকানো সম্ভব হবে না। এই বিক্ষোভ সেদিন বন্ধ হবে, যেদিন তৃণমূলের নেতাদের অত্যাচার বন্ধ হবে এবং গ্রেপ্তার করা হবে শেখ শাহজাহানকে। তাই ম্যানেজ করার পলিটিক্স না করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতেই হবে রাজ্য প্রশাসনকে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এতদিন সাধারণ মানুষ ভয় পেতেন পুলিশ প্রশাসনকে। কিন্তু সন্দেশখালি পথ দেখিয়ে দিয়েছে। যার ফলে ভবিষ্যতে রাজ্যের আরও বিভিন্ন এলাকায় যেখানে যেখানে সাধারণ মানুষ এই তৃণমূল নেতাদের দ্বারা অত্যাচারিত, তারাও ধীরে ধীরে মুখ খুলবেন। তাই সন্দেশখালিতে যদি মূল অভিযুক্তকে খুব দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হয়, তাহলে হাত থেকে সবকিছু বেরিয়ে যাবে এই রাজ্য সরকারের। ফলে সময় থাকতে থাকতেই শুভবুদ্ধির উদয় হওয়া প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই অনেক সময় পেরিয়ে গিয়েছে। বাংলা যে পরিমাণ অত্যাচারের সাক্ষী থেকেছে, তাতে সবাই এই তৃণমূলের ওপর বিরক্ত। সন্দেশখালির এই পোস্টার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়ে আবার বুঝিয়ে দিল যে, মানুষের আন্দোলন তখনই থামবে, যখন গ্রেফতার করা হবে শেখ শাহজাহানকে। কিন্তু মানুষের পালস বুঝে নিজের আলালের ঘরের দুলালকে কবে রাজধর্ম পালন করে হাজতের ভেতরে ঢোকান এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী, সেটাই দেখতে চান বিরোধী দল থেকে শুরু করে গণতন্ত্র প্রেমী মানুষরা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!