এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার আমলে কেউ ভাতে মরবে না! যুবরাজের শুধুই বাতেলা! সন্দেশখালিতে কি হচ্ছে? পাল্টা বিজেপি!

মমতার আমলে কেউ ভাতে মরবে না! যুবরাজের শুধুই বাতেলা! সন্দেশখালিতে কি হচ্ছে? পাল্টা বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পিসির মত বাতেলা দিতে বেশ ভালোই শিখেছেন স্বনামধন্য ভাইপো। সন্দেশখালি যখন জ্বলছে, যখন সেখানকার সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তখন সেই নিয়ে কিছু কথা শোনা যাচ্ছে না তৃণমূল নেতাদের গলায়। বরঞ্চ সুকৌশলে গোটা বিষয়কে এড়িয়ে গিয়ে এদিনও একটি সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আবার বড় বড় গলায় বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে কেউ নাকি ভাতে মরবে না। এই কথা তিনি বলেছেন কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি রাজ্যে টাকা দিচ্ছে না। আর সেই কারণেই বাংলার সরকার মানুষকে পরিষেবা দিয়ে সব সময় পাশে থাকবে। কিন্তু মিথ্যা কথা বলে রাজনীতি আর কতদিন করবে তৃণমূল কংগ্রেস? তারা যে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অন্তত এই বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছে, সেটা দিনের আলোর মতো সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তা না হলে কেন্দ্রীয় সরকার যখন বারবার বলছে যে, আপনারা হিসাব দিন, আমরা টাকা দিয়ে দেব। তখন সেই হিসাব না দিয়ে বড় বড় কথা তৃণমূলের নেতাদের গলায় আসে কোথা থেকে? এমত পরিস্থিতিতে তৃণমূলের যুবরাজ যে বাতেলা আজকের সভা থেকে দিলেন, তারপর সকলে একটাই প্রশ্ন করছেন যে, সন্দেশখালির মানুষ তাহলে ভাতে মরছে কি করে? তাদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে? এই প্রশ্নের উত্তর কি দিতে পারবেন সেই যুবরাজ!

প্রসঙ্গত, এদিন নিজের সংসদীয় এলাকায় একটি কর্মসূচিতে উপস্থিত হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরও একটি বড় কথা বলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে বাংলার মানুষরা কেউ ভাতে মরবেন না। আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি শুধুমাত্র কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনীতি করা যায়, তাই এই বিষয়টাকেই দেখতে পাচ্ছেন! তার রাজ্যে সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটছে, সেটা তিনি কেন দেখতে পাচ্ছেন না! তার দলের নেতা বলেই কি শেখ শাহজাহানের কোনো অন্যায় তার চোখে পড়ছে না! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো এখনও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে তাকে বলে কেন তিনি শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করাতে পারছেন না!

আর এই রাজ্য পুলিশ এই সামান্য কাজটুকু করতে পারবে না, এটা কেউ বিশ্বাস করে না। সন্দেশখালির কিছু মানুষ না হলে মিথ্যা কথা বলতে পারে। কিন্তু সবাই তো আর মিথ্যা কথা বলবে না। সবার মুখে কেন তৃণমূলের অত্যাচার নিয়ে সেই একই কথা শোনা যাচ্ছে! তাহলে সেখানে যেভাবে মানুষ জমিহারা হয়ে গিয়েছেন, যেভাবে তাদের জমি, তাদের অধিকার, তাদের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছেন তৃণমূল নেতারা, তারপরে কেন চুপ রয়েছেন এই বাংলার যুবরাজ? কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন পরে, আগে সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটছে এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে ছোট ছোট সন্দেশখালি হয়ে রয়েছে, সেই সমস্যা সমাধান কবে হবে! সেই প্রশ্নের উত্তর আগে দেওয়া উচিত পাতি নেতা পিসির ঘরের আড়ালে দুলাল এই ভাইপো মনির বলেই দাবি একাংশের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ভাইপোর কথা শুনেই নিজের বিপদ ডেকে এনেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ভাইপোকে যদি তিনি রাজনীতিতে না নিয়ে আসতেন, তাহলে হয়ত এই শাহজাহান মডেলদের উৎপাত এত বাড়ত না। আর মানুষের বিক্ষোভও এই পর্যায়ে পৌঁছতে পারত না। কারণ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে, তার সততার ওপর ভরসা করে, তার আন্দোলনের উপর ভরসা করে তাকে গরিবের নেত্রী বলে এই রাজ্যের ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যের করে দিয়েছেন, যেভাবে তার দলের গুন্ডারা মানুষকে যন্ত্রণা দিচ্ছেন, তাতে কিন্তু মানুষের চাপা ক্ষোভ এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে, সেটাকে সামাল দেওয়ার মত ক্ষমতা নেই তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই এখন ভাইপো যদি বলার চেষ্টা করেন যে, বাংলার মানুষকে ভাতে মরতে দেবেন না, তাহলে তার দিকেই প্রশ্ন উঠবে যে, তার পিসির রাজত্বে কি হচ্ছে? কি হচ্ছে সন্দেশখালিতে! সেখানে যেভাবে মানুষের চোখের জল পড়ছে, যেভাবে মহিলাদের রাত বিরেতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত তৃণমূল নেতাদের গোপন ডেরায়, সেই সুবিচার কবে হবে? আগে সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত দুদিন হল রাজনীতিতে আসা এই স্বনামধন্য যুবরাজের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!