এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আজ স্যাটের দেওয়া তিন মাসের সময়সীমা শেষ? কোন দিকে এগোচ্ছে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ভাগ্য

আজ স্যাটের দেওয়া তিন মাসের সময়সীমা শেষ? কোন দিকে এগোচ্ছে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ভাগ্য


 

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য নতুন কিছু নয়। বারবার কেন্দ্র সরকারের হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। সেই মোতাবেক আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। যার জেরে গত 26 শে জুলাই স্যাটের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রায় ঘোষণা হওয়ার তিন মাসের মধ্যেই রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকে।

আর এই রায়ে স্পষ্ট বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় মহার্ঘ ভাতার হারে ভাতা দিতে হবে। শুধু তাই নয়, ২০০৬ সাল থেকে যে যে তারিখ থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ডিএ বাড়িয়েছে, সেই সেই দিন থেকে দিতে হবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ও এই দীর্ঘ ১৩ বছরের সমস্ত বকেয়া দিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও স্যাট জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারকে এই টাকা রায় ঘোষণার ১ বছরের মধ্যে অথবা নতুন পে-কমিশন চালু করার আগে (যেটি আগে হবে), এই বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। আর স্যাটের সেই রায়ের, তিন মাসের সময়সীমা পার হতে চলেছে আজ।

তবে এই বিষয়ে রাজ্য সরকার এখনও কোনো রকম কোনো স্পষ্ট ঘোষণা না করায়, কার্যত অসন্তোষের বাতাবরণ দেখা দিয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে। এমনকি, রাজ্য সরকার নতুন পে-কমিশন ঘোষণা করে দিলেও, ডিএ নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে। বকেয়া মহার্ঘ্যভাতা দেওয়া ও দূরের কথা, নতুন পে-কমিশনে কোনো ডিএর কথা বলায় নেই। সব থেকে বড় কথা, যে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের ফলে ‘ডিএ কর্মচারীদের সাংবিধানিক অধিকার’ বলে আদালতের আইনি স্বীকৃতি মিলেছে, তাই এবার কার্যত ‘উড়ে’ যাওয়ার জল্পনা সৃষ্টি করেছে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা, পে-কমিশনের চেয়ারম্যান চার বছর ধরে ‘অনেক মাথা খাটিয়ে’ সিপিআইয়ের বদলে ডিএ নিয়ে রাজ্যের নতুন সূচক তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সরকারি কর্মচারীদের তরফে! তার উপরে গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে দীপাবলির সময় কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের 5% মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই দীপাবলীর উৎসব মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদেরকে পাঁচ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা।

আর এই খবর চাউর হতেই নতুন করে অসন্তোষ ছড়িয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে। উল্লেখ্য, স্যাটের রায় অনুসারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদেরকে প্রতি বছরে অন্তত দুইবার করে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সেই রায় অনুসারে 26 জুলাই থেকে শুরু করে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয় নির্ণয় গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু আজ 25 শে অক্টোবর। এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড় সফরে রয়েছেন।

তিনি আগামী কাল নবান্নে নিজের দপ্তরে উপস্থিত হবেন। কিন্তু এই স্বল্প সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকার কি মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে? এখন তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা। গতকাল পর্যন্ত এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি। যাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য লক্ষ্য করা গেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের কাছে রায় মোতাবেক আর মাত্র একদিন সময় রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের পরিপ্রেক্ষিতে রোপা 2019 এ মহার্ঘ ভাতা সম্পর্কিত কোনো রকমের বিস্তারিত তথ্য নেই।

যার কারণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। পাশাপাশি বিতর্ক বাড়িয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীকে ‘সার্ভেন্ট’ বলা হয়েছিল রোপা 2019-এ। বলা হয়েছে, কোনো রকমের বকেয়া দেওয়া হবে না। তাই একদিকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদেরকে সার্ভেন্ট বলা, অন্যদিকে বকেয়া ভাতা না দেওয়া ইত্যাদি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমনিতেই সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল। তার উপর আবার স্যাটের দেওয়া তিন মাসের সময়সীমা অতিক্রান্ত হতে চললেও এখনও পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা কেন্দ্রীয় হারে চালু করার বিষয়ে কিছুই জানায় নি রাজ্য সরকার।

আর এরফলেই, উত্তরোত্তর ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এখনও যদি ঠিক সময়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন সংক্রান্ত সমস্যা মিটিয়ে না ফেলা হয়, তাহলে আগামী দিনে বড়সড় আন্দোলনের মুখে পড়তে হতে পারে রাজ্য সরকারকে। প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ ও বেতন কমিশন চালু না হওয়ার ক্ষোভ ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ভোটের বাক্সে দেখিয়ে দিয়েছেন! গত লোকসভা নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের হিসাবে, রাজ্যের ৪২ টি আসনের মধ্যে ৪০ টি আসনেই হারতে হয়েছে তৃণমূলকে! এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের সদর্থক পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে সব মহলই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!