এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কংগ্রেস, মোদির চাপ বাড়িয়ে দিয়ে মনোবল ফিরে পাচ্ছে নেতা-কর্মীরা

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কংগ্রেস, মোদির চাপ বাড়িয়ে দিয়ে মনোবল ফিরে পাচ্ছে নেতা-কর্মীরা


সদ্যসমাপ্ত 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে অনেকটাই ব্যাকফুটে পড়ে গিয়েছিল কংগ্রেস। গোটা দেশের হাত শিবিরের কর্মী- সমর্থকরা প্রবল মোদি ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে কিভাবে সামনের দিনগুলোতে বিভিন্ন নির্বাচনে তারা লড়াই করবেন, তা ভেবে পাচ্ছিলেন না। দলের পরাজয়ের সমস্ত দায় নিজের কাঁধে নিয়ে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধীও।

পরবর্তীতে অনেক নাটকীয় পরিস্থিতির পর ফের কংগ্রেস সভানেত্রীর দায়িত্ব আসে সোনিয়া গান্ধীর কাঁধে। কিন্তু 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি ঝড়ে কংগ্রেস বিদ্ধ হলেও সদ্য অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে বেশ ভালোভাবেই লড়াইয়ে নামতে দেখা গিয়েছিল হাত শিবিরকে। তবে শুধু লড়াইয়ে নামাই নয়, নির্বাচনের ফলাফলে অনেকটাই ক্ষমতা দখলের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল হাত শিবির বলে দাবি কংগ্রেসের একাংশের।

জানা যাচ্ছে, আর কয়েকটা আসন জোগাড় করলেই রাজ্য সরকার গঠন করা তাদের পক্ষে অসুবিধা হত না। আর এখানেই প্রশ্ন, কেন এই সুবিধা করলেন না কংগ্রেস নেতৃত্বরা! আদৌ কি তাদের ইচ্ছা ছিল! নাকি ইচ্ছে করেই এই সুযোগ ছেড়ে দিলেন তারা!

এদিন ফলাফল প্রকাশের পর দু’বারের এখানকার মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের ভূপিন্দর সিং হুডা বলেন, “আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ক্ষমতায় ফিরতাম। যদি আরেকটু সময় পাওয়া যেত।” কিন্তু অভিজ্ঞ এই রাজনীতিবিদ তাদের আশার কথা শোনালেও কংগ্রেসের হাই কমান্ডের পক্ষ থেকে প্রথম থেকে এই দুই রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারে গা ঢিলে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি একাংশের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে বিজেপির তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় ভালো ফল করতে প্রচারে ঝাপিয়েছিলেন, সেখানে কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী থেকে শুরু করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আসার কথা থাকলেও সেই ভাবে তারা কেউ না আসায় এবং শেষে তড়িঘড়ি করে রাহুল গান্ধীকে দিয়ে প্রচার করিয়ে কংগ্রেস তাদের প্রথম দফাতেই কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল হাত শিবির।

অর্থাৎ বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, যদি প্রথম থেকেই এই দুই রাজ্যে ভালোমতো কংগ্রেস তাদের প্রচার করতে পারত, তাহলে বিজেপিকে অনেকটাই চাপে ফেলতে সক্ষম হত তারা। কিন্তু তা না করাতেই অদৃষ্টের নিষ্ঠুর পরিহাস ভোগ করতে হচ্ছে তাদের।

শুধু প্রচার পর্বেই নয়, যেখানে এই দুই রাজ্যের ফলাফলে দেখা গেছে যে, বিজেপি কিছুটা কোণঠাসা, সেখানে কংগ্রেস যদি তাদের ভালো মুখ তুলে আনতে পারত, তাহলে তারা অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ পেত বলে মনে করছে বিশ্লেষকদের একাংশ। কিন্তু সেক্ষেত্রে কংগ্রেস এখানে কোনো বিকল্প এবং ভালো মুখ তুলে আনতে না পারায় তাদের অনেকটাই এখানে ধাক্কা খেতে হয়েছে এবং বিজেপি সরকার গড়ার দিকে এগিয়ে গেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আর এই পরিস্থিতিতে ভালো ফল করার দিক থেকে কংগ্রেসের সম্ভাবনা থাকলেও কংগ্রেস নেতৃত্বের গা ঢিলেমি এবং সদিচ্ছা না থাকায় হাত শিবিরের ভূমিকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!