এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের তৃণমূলের নতুন নাটক, ব্রিগেডে সভা ডেকে সন্দেশখালি ম্যানেজ! কটাক্ষ বিজেপির!

ফের তৃণমূলের নতুন নাটক, ব্রিগেডে সভা ডেকে সন্দেশখালি ম্যানেজ! কটাক্ষ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সন্দেশখালি নিয়ে সিঁদুরে ভূত দেখতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতা-নেত্রীরা। মুখে তারা যাই বলার চেষ্টা করুন না কেন, যতই বলুন, মানুষ তাদের পাশে আছে, তৃণমূল নেত্রী এবং এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালো করেই বুঝতে পারছেন যে, সন্দেশখালি থেকে জনতার জনজাগরণ হয়েছে। আগামী দিনে গোটা রাজ্যের যে সমস্ত জায়গায় এই তৃণমূল সরকারের আমলে অত্যাচার হয়েছে, সেখানেই মানুষ গর্জে উঠবে। তাই এখন সিমপ্যাথি দিয়ে এই সন্দেশখালির মত ইস্যুকে ধামাচাপা দিয়ে আবার একটা নতুন নাটক করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।  তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

আর সেই কর্মসূচি নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এখন তৃণমূল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনীতি না করে রাজ্যে যখন তারা ক্ষমতায় রয়েছে, তখন সন্দেশখালিকে কেন ঠান্ডা করতে পারছে না, সেখানকার মূল অভিযুক্তকে কেন গ্রেপ্তার করতে পারছে না, কেন সেই দিকে মনোযোগ না দিয়ে অন্য একটা ইস্যু তৈরি করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার চিন্তা করছে, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল যদি ভেবে থাকে যে, একটা নতুন ইস্যুকে সামনে রেখে তারা সন্দেশখালিকে ধামাচাপা দেবে, তাহলে তারা ভুল করছেন। বরঞ্চ এটাই তৃণমূলের কাছে ব্যাক ফায়ার হিসেবে আসতে পারে বলেই মনে করছেন একাংশ।

সূত্রের খবর, আগামী 10 মার্চ তৃণমূলের পক্ষ থেকে ব্রিগেডে একটি সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। যে সভার নাম দেওয়া হয়েছে, জনগর্জন সভা। মূলত কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যে টাকা দেওয়া হচ্ছে না, তার বিরুদ্ধেই বাংলার বঞ্চনা নিয়ে নাকি তৃণমূল কংগ্রেস এই সভা করবে! এখন মূল বিষয় হচ্ছে যে, তৃণমূল কেন, যে কোনো রাজনৈতিক দল তাদের এই সভা করতেই পারে। তবে সবথেকে বড় প্রশ্ন, কেন্দ্র তো বার বার করে বলেছে যে, আপনারা হিসাব দিন, তাহলেই টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই হিসাব না দিয়ে কেন এই ধরনের নাটুকে আন্দোলন করার পথে আবার হাটলো এই রাজ্যের শাসক দল? তাহলে কি এর পেছনে অন্য কোনো পরিকল্পনা রয়েছে?

একাংশ কার্যত নিশ্চিত যে, এর পেছনে রয়েছে সন্দেশখালির মত তরতাজা ইস্যু। লোকসভা ভোট এগিয়ে আসছে, তাই একটা কিছু করে তো বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। সেদিক থেকে সন্দেশখালি যখন সকলের চোখ খুলে দিয়েছে, যখন সেখানে অত্যাচার নিয়ে রাস্তায় নামছেন সব প্রতিবাদী জনসাধারণ, তখন তৃণমূল বুঝতে পারছে যে, তাদের হাত থেকে সবকিছু বেরিয়ে যাচ্ছে। তাই শেষ মুহূর্তে ব্রিগেডে একটা সভা করে লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের পক্ষে জনতা আনার মরিয়া চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ভাইপো। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সমস্ত ব্রিগেডের সভা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের মন থেকে সন্দেশখালিকে ভোলাতে পারবেন না। নন্দীগ্রামে যখন জমি আন্দোলন তৈরি হয়েছিল, সেই সময় তৎকালীন শাসক দলও অনেক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে নেহাত শিশু। তিনি এসব আন্দোলন করে আর যাই হোক, তার সরকারের চুরি যেমন ঢাকতে পারবেন না, ঠিক তেমনই এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা সাধারন মানুষের মুখও বন্ধ করতে পারবেন না।

লোকসভা নির্বাচনে এবারে রাজ্যের মানুষ আর যাই হোক, তৃণমূলকে সমর্থন করবে না। এটা দেওয়াল লিখনের মত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। জনতার যে প্রতিবাদ সংঘটিত হয়েছে, তাতে ভয় পেয়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই শেষ পর্যন্ত একটা ব্রিগেডে সভা করে নিজের কিছু নেতা কর্মীদের এনে লোকসভা নির্বাচনের আগে আওয়াজ তুলতে চাইছেন। তবে এইসব নাটক এবার শেষের মুখে। তাকে আর যাই হোক, আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে রাজ্যের মানুষ আর সম্মান করে না। যে সর্বনাশ তিনি রাজ্যবাসীর সঙ্গে করেছেন, তাতে গোটা রাজ্যের মানুষ হিসেব নেওয়ার জন্য তৈরি। আর সেই হিসেব লোকসভা নির্বাচনে ব্যালট বক্সেই হাতেনাতে পেয়ে যাবেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!