এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল হোক বা বিজেপি অতিমারীতে স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলছে জমিয়ে রাজনৈতিক জমায়েত

তৃণমূল হোক বা বিজেপি অতিমারীতে স্বাস্থ্যবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলছে জমিয়ে রাজনৈতিক জমায়েত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের কারণে সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার কথা বলা হচ্ছে। এখন কোনো জমায়েত মিটিং-মিছিল যাতে কেউ না করেন, তার জন্য বারবার সকল রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন করছে সরকার থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। কিন্তু বাংলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে সেই সামাজিক দূরত্ব থেকে না মেনে নিজেদের রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তি দেখাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, তাতে তাদের আচার-আচরণ নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

কখনও তৃণমূল, আবার কখনও বা বিজেপি, শাসক-বিরোধী প্রতিটি রাজনৈতিক দলই করোনা পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, তখন বিন্দুমাত্র নিয়ম নীতির বালাই করছেন না। উত্তর 24 পরগনার বনগায় অন্তত সেরকমই দৃশ্য চোখে পড়ছে। শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা শাসকের দপ্তরে সামনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। যেখানে জেলা বিজেপি নেতৃত্বদের পাশাপাশি প্রচুর কর্মী-সমর্থক উপস্থিত হয়েছিলেন।

মুখে মাস্ক পড়ার কথা থাকলেও অনেকেই তা গলায় ঝুলিয়ে রাখেন। আর সব থেকে বড় কথা, এদিন বিজেপির এই কর্মসূচিতে বিন্দুমাত্র সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি‌। ফলে রাজনৈতিক দলগুলো যদি মানুষকে সচেতন না করে এইভাবে মিটিং মিছিল করতে থাকে, তাহলে সাধারন মানুষ কিভাবে সচেতন হবেন, আর কিভাবে বিদায় নেবে করোনা ভাইরাস, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

যদিও বা এই প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। তার মধ্যেও আমরা শারীরিক দূরত্ব মেনে সুশৃংখলভাবে কর্মসূচি পালন করেছি।” তবে এই ব্যাপারে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, “বিজেপি একটি শৃংখলাহীন দল। ওরা আইন নিয়ম নীতি মানে না। এ দিনের ঘটনায় আবার তা প্রমাণিত হয়ে গেল।”

কিন্তু তৃণমূল এখন এই অভিযোগ তুললেও বৃহস্পতিবার বনগাঁ ব্লকে তৃণমূলের দুটি সভায় শারীরিক দূরত্বও না থাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। ফলে তারা আগে এই রকম ভুল করে এখন বিজেপির দিকে কেন দোষারোপ করছে, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে এই করোনা ভাইরাসকে ইস্যু করে সরব হলেও, তাদের প্রধান কর্তব্য সামাজিক দূরত্ব পালন না করে উল্টে মানুষের বিপদ ডেকে আনছে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সঞ্জয় নায়েক বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে যখন সরকার সাপ্তাহিক লকডাউন করে চলেছে, তখন সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় তুলে কিভাবে সভা করছে তৃণমূল! এতে ওদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় ফুটে উঠেছে।”

অন্যদিকে বিজেপির এই দাবিকে মানতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, “সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে নেওয়া হয়েছে। তৃনমূল কর্মীরা দলের অনুষ্ঠানে আবেগে দলকে ভালোবেসে বিপুল সংখ্যায় চলে এসেছিলেন।”

আর এখানেই প্রশ্ন, রাজনৈতিক দলগুলো খুব ভাল করেই জানে করোনা ভাইরাসের সময় মিটিং-মিছিল করা উচিত নয়। কিন্তু তার মধ্যেও তারা মানুষের জীবনকে বিপদে ফেলে কেন এভাবে জমায়েত করছে? অনেকে বলছেন, তৃণমূল হোক বা বিজেপি, সিপিএম হোক বা কংগ্রেস, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছেই এখন সবথেকে বড় সম্পদ তাদের ভোটব্যাঙ্ক। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তাই তার আগে এখন তারা নিজেদের মতো করে ময়দানে নামতে শুরু করেছেন।

কিন্তু মানুষের জীবনই যদি বিপন্ন হয়, তাহলে তাদের সমর্থন করবে কে, তা হয়ত ভুলে গিয়েছে সেই রাজনৈতিক দলগুলো। আর তাই নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব প্রদর্শন করতে গিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলে দিচ্ছেন তারা বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এমতাবস্তায় জনতা জনার্দন থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সকলেই বলছেন, অন্তত কিছুদিনের জন্য সামাজিক দূরত্ব পালন করুন সকলে।

রাজনৈতিক দলগুলো মানুষের জন্য কিছুটা দিন জামায়াতকে এড়িয়ে চললে সকলেই উপকৃত হবেন বলে মত জনতা জনার্দনের। তবে ভোটব্যাংকে ডুবে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো এই ব্যাপারে কতটা সদর্থক ভূমিকা পালন করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!