প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গতকাল মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন নি এখনো, এখনো তিনি দল ছাড়েননি। তবে, আগামী দিনে তিনি কি করতে চলেছেন? তা নিয়ে সংশয় তীব্র হতে চলেছে শাসকদল তৃণমূলে। এদিকে জেলায়, জেলায় রয়েছে তাঁর বিপুল সংখ্যায় অনুগামী। তাই, তিনি যদি দল ছেড়ে চলে যান, তবে তাঁর অনুগামীরাও তাঁর পিছু ধরতে পারেন, এমন আশঙ্কা রয়েছে শাসকদল তৃণমূলে। এই পরিস্থিতিতে মালদহ জেলা থেকে একাধিক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা-নেত্রীকে কলকাতায় জরুরি তলব করা হলো দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে।

তৃণমূল সূত্রের খবর, মালদহ জেলার কোর কমিটির নেতা-নেত্রীদের জরুরি বৈঠকে কলকাতায় ডেকে পাঠিয়েছেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল তিনি তাঁদের এই জরুরি তলব করেছেন। তাই আজ তাঁরা যাচ্ছেন কলকাতায়। অবশ্য, সরকারিভাবে এ বিষয় নিয়ে মালদহ জেলার কোন তৃণমূল নেতাই কোন বক্তব্য রাখেন নি। তবে, শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরে তাদের এই কলকাতায় তলব যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।

বস্তুত মালদহ জেলা তৃণমূলের কোর কমিটি ৮ জন নেতা-নেত্রীদের নিয়ে গঠিত। যারা হলেন তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর, জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল, প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, সাবিত্রী মিত্র, তিন জন কোঅর্ডিনেটর দুলালচন্দ্র সরকার, অম্লান ভাদুড়ী, মানব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখরা। এদের সবাইকেই আজ শনিবার ডেকে পাঠানো হয়েছে কলকাতায়। এ প্রসঙ্গে নিজের নাম গোপন রেখে তৃণমূলের জনৈক জেলা নেতা জানালেন যে, কোর কমিটির সবাইকে কলকাতাতে তলব করা হয়েছে। এ কারণে আজ তাঁরা কলকাতায় যাচ্ছেন।

তবে, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মালদহ জেলা কোর কমিটির সদস্যদের কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে চলেছে? সে বিষয়ে তাঁরা কিছু জানাননি। তবে আলোচনার বিষয় নিয়ে তাদেরকে আদৌ জানানো হয়েছে কিনা? তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে মালদহ জেলা নেতৃত্বের একাংশের মতে, শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবার পর জেলার নেতারা কি পদক্ষেপ নিতে চলেছেন সেটা জানতেই তাঁদের কলকাতায় তলব করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মালদহ জেলা তৃণমূল কোর কমিটির বেশকিছু নেতা-নেত্রী হলেন শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ। প্রসঙ্গত মালদহ জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূর শুভেন্দু অধিকারীর চেষ্টাতেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। আবার, মালদহ জেলার প্রাক্তন যুব সভাপতি অম্লান ভাদুরিও শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আবার, শুভেন্দু অধিকারীর চেষ্টাতেই মালদহ জেলা পরিষদ তৃণমূলের হাতে এসেছিল। সে সময় শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন মালদহ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক। মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে শাসক দলের অস্বস্তি তীব্রভাবে বাড়িয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।