বড়সড় ধাক্কা , ইডির চাপে ঘুম উড়তে পারে ৭ প্রভাবশালী নেতার? কলকাতা রাজ্য July 2, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –নারদা থেকে সারদা, বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় তৃণমূলের অনেক নেতা মন্ত্রীর অস্বস্তি বেড়েছে। আর এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের করা একটি মামলায় তীব্র অস্বস্তি বাল্য তৃণমূলের সাত হেভিওয়েট নেতার। বস্তুত, কলকাতা বন্দর এলাকায় মাফিয়া রাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার, এমনকি বন্দর ব্যবহারকারীদের গুন্ডাকর আদায়ের অভিযোগে 7 জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রের এই তদন্তকারী সংস্থা। যার ফলে এখন তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। বর্তমানে সেই সমস্ত অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেই সমস্ত তৃণমূল নেতারা প্রত্যেকেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। তাই তাদের খুঁজতে এখন পুলিশের সাহায্য নিচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 30 মার্চ গার্ডেনরিচে করোনা ভাইরাসের সংকটকালে রেশন দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। কে রেশন দেবে, তা নিয়ে শুরু হয় গন্ডগোল। আর তারপরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এদিকে এই ঘটনার পরেই নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারীরা গার্ডেনরিচে যান। আর তখনই তারা জানতে পারেন যে, এই সংঘর্ষের ঘটনায় অনেক বড় চক্র কাজ করছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এমনকি ব্যাংক জালিয়াতি, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি ইত্যাদির সঙ্গে জামাতার গ্যাংয়ের একটি ঘাঁটি গার্ডেনরিচে তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। আর এরপরই এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে এই মামলা গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তারই অঙ্গ হিসেবে অভিযুক্ত সাত তৃণমূল নেতার হদিশ পেতে রীতিমত উদগ্রীব হয়ে রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই উদ্যোগের ফলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ঘুম উড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এমন কিছু আমার জানা নেই। তাই মন্তব্য করব না। তবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো সারাক্ষণ আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে চলেছে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফিরহাদ হাকিম এই কথা বলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তকে খাটো করতে চাইলেও, গার্ডেনরিচের ঘটনায় যেভাবে এই কেন্দ্রীয় এজেন্সি সক্রিয় হয়েছে, তাতে তৃণমূল বড়সড় বিড়ম্বনায় পড়তে পারে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, গার্ডেনরিচের ঘটনায় তৃণমূলের অস্বস্তি কতটা বাড়ে এবং ইডির তদন্তের মুখে পড়ে শাসকদলের কোন কোন নেতা বিড়ম্বনায় পড়েন, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -