আবারও বিক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় – জেনে নিন কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য November 14, 2019 ত্রাণ নিয়ে রাজনীতি যেন কিছুতেই কমছে না বাংলায়। আর এবার সেই ত্রাণের রাজনীতির শিকার হলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলে অভিযোগ। রাজনীতির আনাচে-কানাচে প্রায় প্রত্যেকেই জানে, ইতিপূর্বে বঙ্গ রাজনীতিতে বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। নির্বাচনী প্রচার থেকে শুরু করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হেনস্থা পর্যন্ত, একাধিকবার আক্রান্ত হতে হয়েছে কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রীকে। কিন্তু তবুও নিজের কাজে নাছোড় বাবুলবাবু। জানা যায়, সম্প্রতি বুলবুল ঝড়ে ধ্বংসপ্রায় নামখানা এলাকায় আর্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পৌঁছে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু এখানেই ঝড়ে দুর্গতরা বাবুলবাবুকে ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। তবে বিজেপির তরফ পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়েছে, আদতে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরাই দুর্গতদের ভিড়ে মিশে গিয়ে আসানসোলের বিজেপি সাংসদকে কালো পতাকা দেখায়। তবে শুধু কালো পতাকা দেখানোই নয়, এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গোব্যাক স্লোগান দেওয়া হয় বলে খবর। কিন্তু প্রবল বিক্ষোভের মধ্যে পড়েও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিন্তু পিছপা হননি। এদিন বাবুল সুপ্রিয় বলেন, “এখানে কাজ করতে এসেছিলাম বিক্ষোভ যে দেখাবে, সেটা জানাই ছিল।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে সোমবার যে সমস্ত এলাকায় বুলবুল ঝড় তাণ্ডব চালিয়েছে, বিধ্বস্ত সেই সমস্ত এলাকায় পরিদর্শন করতে যান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বকখালি থেকে শুরু করেন পাথরপ্রতিমা পর্যন্ত একাধিক এলাকায় ঝড়ে দুর্গতদের পাশে ত্রাণের বার্তা দিকে পৌঁছে যান বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। এখানেই স্থানীয় প্রশাসনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করেন যে, কেউ কেউ এর জন্য রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে পারে। তাই সেদিক থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স গঠন করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বলাই বাহুল্য, মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরই বাবুল সুপ্রিয়র হেনস্থা এখন রীতিমত প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে। গোটা ব্যাপারটিকে কটাক্ষ করে ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা কৃষ্ণেন্দু গায়েন বলেন, “পুলিশকে আগে থেকেই বিক্ষোভের সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছিল। নামখানা থেকে ফ্রেজারগঞ্জ যাওয়ায় পথে তৃনমূলের লোকেরা বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন বাবুল সুপ্রিয়।” এক্ষেত্রে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তোলেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকা পরিদর্শনে গেলে যেরকম পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপ থাকে, একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এলাকা পরিদর্শনে গেলে সেই প্রশাসনিক ঘেরাটোপে কেন শিথিলতা দেখা দিচ্ছে! কেন একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এইভাবে হেনস্থার শিকার হতে হল! এনিয়ে বারবারই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে। বলাই বাহুল্য, দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে যদি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হেনস্তার শিকার হতে হয়, তাহলে তা রাজ্য প্রশাসনের কাছে অত্যন্ত লজ্জার বিষয় বলে মনে করেন অনেকে। সবকিছু মিলিয়ে আগামী দিনে ত্রাণের রাজনীতি ঠিক কি আকার নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -