এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > উপনির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা বিজেপির! মনোনয়নই বাতিল হয়ে গেল এক প্রার্থীর! জানুন বিস্তারিত

উপনির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা বিজেপির! মনোনয়নই বাতিল হয়ে গেল এক প্রার্থীর! জানুন বিস্তারিত


নিজেদের দখলে ছিল খড়্গপুর বিধানসভা কেন্দ্র। কিন্তু সেই খড়্গপুর কেন্দ্রে এবার প্রার্থী নিয়ে চরম সমস্যায় পড়ল গেরুয়া শিবির। প্রথমে দিলীপ ঘোষের ছেড়ে যাওয়া এই কেন্দ্রে প্রেমচাঁদ ঝাকে প্রার্থী করা হলেও, পরবর্তীতে প্রেমচাঁদ ঝা পুরাতন মামলায় জড়িয়ে যাওয়ার কারণে ঝুঁকি নিতে চায়নি বিজেপি। আর নিজেদের বিপদ এড়ানোর জন্য প্রেমচাঁদ ঝায়ের পাশাপাশি জেলা বিজেপি সভাপতি সমিত দাসকে দিয়েও মনোনয়নপত্র দেওয়ায় বিজেপি।

কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমিতবাবু দলীয় প্রতীক জমা দিতে না পারায় এবার তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেল। যার কারণে খড়্গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী হলেন শুধুমাত্র প্রেমচাঁদ ঝা – ফলে, উপনির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরে তীব্র হচ্ছে আতঙ্ক। প্রসঙ্গত, গত বুধবার ছিল এই খড়্গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। আর সেদিনই বিজেপির প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝা মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তার মামলার কারণে ভিন্ন পদক্ষেপ নেয় বিজেপি।

জমি মামলায়, ইতিমধ্যেই একবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে গেছে প্রেমচাঁদ ঝায়ের বিরুদ্ধে। ফলে, প্রার্থী ঘোষণার পর, বেশ কিছুদিন তাঁকে এলাকায় দেখা যায় নি! প্রার্থী ছাড়াই কর্মিসভা করেন দিলীপ ঘোষ। এরপর, কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিন পেলে, তবেই প্রকাশ্যে এসে মনোনয়ন জমা দেন বিজেপি প্রার্থী। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের আশঙ্কা, প্রেমচাঁদবাবুর আগাম জামিনের মেয়াদ আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত। কিন্তু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৫ শে নভেম্বর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এর মাঝে যদি সেই আগাম জামিন রদ হয়ে যায়! তাহলে তো গ্রেপ্তার হয়ে যেতে পারেন বিজেপি প্রার্থী! ফলে, বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে প্রেমচাঁদবাবুর পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী করা হয় জেলা সভাপতি সমিত দাসকে। কিন্তু, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় এই দুজনের প্রতীক তৈরি হলেও প্রেমচাঁদবাবুই শুধু তা জমা দিতে পারলেন! সমিতবাবুর জন্য তৈরী করা ফর্ম-বি গাড়িতেই রায়ে গেল! যা আবার চলে গেল কলকাতায়! আর তাই প্রতীক পেলেন না সমিতবাবু!

বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে, তাঁকে ১০ জন প্রস্তাবকের তালিকা জমা দিতে হত। কিন্তু, তাও তিনি এদিন দিতে পারেননি। ফলে, দুটি ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে না পারার জন্য শেষ পর্যন্ত প্রার্থীপদ বাতিল হয়ে গেল সমিতবাবুর। যা নিয়ে এখন বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। কেননা, প্রেমচাঁদ ঝায়ের গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা থেকেই সমিতবাবুকে বিকল্প প্রার্থী করার ভাবনা ছিল। এবার যদি সত্যিই প্রেমচাঁদবাবু গ্রেপ্তার হয়ে যান – তাহলে কি হবে?

এদিন এই প্রসঙ্গে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া জেলা বিজেপি সভাপতি সমিত দাস বলেন, “আমি জানতাম – প্রতীক পরে জমা দেওয়া যাবে। কিন্তু যখন জানতে পারলাম, বুধবারই তা জমা দেওয়া যাবে, তখন অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তবে প্রার্থী নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। প্রেমচাঁদ ঝাই আমাদের দলের প্রার্থী।” তবে সমিতবাবু প্রতীক জমা দিতে না পারায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ায় এখন নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

কেননা বিজেপিরর ঘোষিত প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝা মামলায় জড়িত হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তিনি যদি প্রার্থী না হতে পারেন, তাহলে ভোটগ্রহণের আগেই এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির ঝুলি শূন্য হয়ে যাবে! ফলে, প্রশ্ন উঠছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই – প্রথমত, এত ঝুঁকির মধ্যে কেন প্রার্থী করা হল প্রেমচাঁদ ঝাকে? দ্বিতীয়ত, তাঁর বিকল্প হিসাবে সমিতবাবুর মনোনয়ন জমা কেন করানো গেল না? এতবড় ‘টেকনিক্যাল ফল্টের’ দায় কার? আপাতত, সমিতবাবুর মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও প্রেমচাঁদ ঝা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে পারেন, নাকি নির্বাচন-প্রক্রিয়া চলা পর্যন্ত আশঙ্কা নিয়েই কাটাতে হয় গেরুয়া শিবিরকে, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!